মিশরের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যিনি দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সেই কামাল আল গানযৌরি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন।
পাশাপাশি কায়রোর তাহরির স্কোয়ারে সামরিক শাসনের অবসান দাবি করে শুক্রবারও বিরাট বিক্ষোভ হয়েছে।
এদিকে নজিরবিহীন এক পদক্ষেপে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে মিশরের প্রধান ইমাম বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করে এক বার্তা দিয়ে বলেছেন, তিনি তাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করছেন।
কায়রো থেকে বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, অন্য যে কোন দিন কায়রোর তাহরির স্কোয়ারে খুব একটা ভীড়-ভাট্টা থাকেনা। বিশ্বের অনেক জায়গার মতই কংক্রিটে ঘেরা এক চত্বর এটি।
কিন্তু শুক্রবার তাহরির স্কোয়ার ছিল সরগরম। হাজার হাজার মানুষের ভীড়, হৈচৈ আর হকারদের পশরা। এরই মাঝে চলছিল নামাজ পড়া।
তারা জানান, কিন্তু এত কিছু মধ্যেও যেটা লক্ষ্য করার মতো তা হলো বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মতভেদ।
কট্টরপন্থীদের মধ্যে একাংশ সোমবারের সংসদীয় নির্বাচন চান না। কিন্তু অন্য অংশটি এই নির্বাচনে ভোট দিতে চান।
এই মুহুর্তে মিশরে ক্ষমতায় রয়েছে একটি সামরিক পরিষদ। একটি বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতার হাতবদল আয়োজন করার দায়িত্ব এখন এই পরিষদের ওপর।
অন্যদিকে তাহরির স্কোয়ারের বিক্ষোভকারীদের আশংকা এই নির্বাচন হবে না, কারণ কালক্ষেপন করে এই পরিষদ ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী কামাল গানযৌরি ১৯৯০ সালের শেষদিকে মিশরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
কিন্তু সেসময় প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে কামাল গানযৌরিকে বরখাস্ত করে তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন।
তবে এখন মি: গানযৌরি নতুন সরকার গঠন করার পরও এই সরকারকে সামরিক কাউন্সিলের কাছেই জবাবদিহি করতে হবে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক