ডেস্ক রিপোর্ট : : সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম মৎস্য আড়তে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। আড়ত কর্তৃপক্ষ কোনো বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই হাট পরিচালনা করে যাচ্ছে। আর প্রশাসনেরও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে নেই কোনো নজরদারি। মাছের সরবরাহ বেশি হলেও রোজায় মাছের দর চড়া রয়েছে এখানে।
হাঁকডাকে বিক্রি হচ্ছে রুই-কাতল, চিতল, পাঙাশ, ইলিশ, শিং-কইসহ হরেক রকমের মাছ। পুকুর, দিঘি, খাল-বিলের তাজা মাছে ভরপুর রয়েছে এ আড়তে।
মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম মৎস্য আড়তটিতে আছে সামুদ্রিক মাছও। কিন্তু সর্বাত্মক লকডাউনের বিধিনিষেধ কেউই মানছেন না।
পাইকার ও ক্রেতাদের গাদাগাদি অবস্থা। আর স্বাস্থ্যবিধির উদাসীনতার নানা অজুহাত তুলে ধরেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
লঞ্চ বন্ধ থাকায় নৌপথে উপকূলীয় জেলা এবং দেশের অন্যান্য স্থানের মাছ কম আসছে। এ কারণে মাছের দাম চড়া বলছেন বিক্রেতারা।
এদিকে কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মানার দাবি করলেও বাস্তবে তা নেই। আড়ত সংশ্লিষ্টরাই মাস্ক পরছেন না। আর প্রশাসন বলেছে, ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মিরকাদিম মৎস্য আড়তের সাধারণ সম্পাদক হাজী নজরুল ইসলাম বলেন, মাস্ক খুলে এখানে এসে পড়েছে অনেক, আমার তো করার কিছু নেই। আমার যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছি।
ইউএনও রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, সবাই যেন সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলে সেটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখব।
দেড় একর জমির ওপর শতাব্দীর প্রাচীন ভোরের এ মাছের হাটে বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।