তানসেন আলম, বগুড়া প্রতিনিধি :: ধর্ষিতা ও তার মা’র চুল নেড়ে করে দেওয়ার প্রধান তিন কারিগরের মধ্যে সংরক্ষিত পৌর কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি ও তুফান সরকারের শাশুড়ি রুমি খাতুন গ্রেফতার হয়েছে। এখনও তুফানের স্ত্রী আশা গ্রেফতার হয়নি।
জানা যায়, শুক্রবারে সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি ও তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও শাশুড়ি রুমি খাতুন রুমকির চকসুত্রাপুর বাসায় ডেকে নিয়ে আসে। তারপর কাউন্সিলর রুমকির নেতৃত্বে তুল নেড়ে করে দেওয়া হয় মা ও মেয়ের।
ধর্ষিতা জানায়, তাকে ডেকে নিয়ে আসার পর সংরক্ষিত কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি তার শরীরে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। তারপর তার সাথে আসা যুবকদের বলে তোরা কে কি করবি, কর। আমি হতভম্ব হয়ে যাই। রুমকির নেতৃত্বে মা ও আমার চুল নেড়ে করে দেওয়া হয়। চুল নেড়ে করে দেওয়ার আগে মারপিট করা হয়।
ধর্ষিতার মা জানায়, তাকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে বগুড়া ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা হুমকি দিয়ে বলা হয়। রাজি না হওয়ায় মারপিটসহ চুল নেড়ে করে দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, আমি এদের নজির বিহীন বিচার চাই।
বগুড়া পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, ওই তিনজন ছাড়াও আরও কয়েকজন আসামী রয়েছে। সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি ও তুফানের শাশুড়ি রুমি খাতুনকে পাবনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তুফানের স্ত্রী আশাকে গ্রেফতারে কয়েকটি টিম মাঠে নেমেছে। আশা করছি দ্রুত সে গ্রেফতার হবে।