আ হ ম ফয়সল, ঢাকা
পহেলা ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমী আয়োজিত মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১২ উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কবি, অনুবাদক, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ এর অধ্যাপক, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম র্যাডিচি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অমর একুশে আমাদের চেতনা ও গৌরবের অনন- উৎস। একুশের চেতনাদীপ্ত বাংলা একাডেমীর এই গ্রন’মেলা এখন গোটা জাতির অহংকার। সময়ের দাবিতে এই গ্রন্থমেলার পরিসর বৃদ্ধি জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সবার মিলিত সিদ্ধানে- একুশের বইমেলার স’ান সংক্রান- অপ্রতুলতা নিরসন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রায় পঁচিশ কোটি মানুষের মুখের ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দানের সরকার জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি জ্ঞানচর্চায় আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় সাধনের ব্যাপক কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সরকার ই-বুক চালু করেছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমূল্যে ল্যাপটপ সরবরাহের ব্যবস’া গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উত্তর প্রজন্মের পাঠকদের জন্য বর্তমান সময়ের লেখকদের উচিত দেশের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তাঁদের লেখনিতে তুলে ধরা। লেখকদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য কপিরাইট আইনের যথাযথ বাস-বায়নেও মনোযোগী হতে হবে।
সম্মানিত অতিথি অধ্যাপক উইলিয়াম র্যাডিচি বলেন, ভাষা-আন্দোলন না-হলে যেমন মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্ভব হতো না তেমনি একুশের গ্রন’মেলা না-হলে বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির এই ক্রমবর্ধমান বিকাশও ঘটতো না। মহান একুশের স্মরণে বাংলা একাডেমীর এই বিশাল আয়োজনে আসতে পেরে আমি গর্বিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে আজ আর ক্ষুধা-দারিদ্র্য এবং প্রাকৃতিক দুযোর্গ কবলিত কোনো দেশের শিরোনাম নয়, বাংলাদেশ এখন অমিত সম্ভাবনাময় এক রাষ্ট্রের প্রতীক।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন অমর একুশে গ্রন’মেলার সদস্য-সচিব ও বাংলা একাডেমীর পরিচালক শাহিদা খাতুন এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।