জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর)প্রতিনিধি :: কেশবপুরের বারুইহাটি গ্রামের এক সময়ের তরতাজা যুবক রবিউল ইসলাম ভাগ্যের চাকা ফেরাতে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বিল্ডিং কাজ করাকালিন পড়ে গিয়ে আজ পঙ্গু জীবন যাবন করছেন। চলাফেরা করতে পারেন না তিনি। একটি হস্তচালিত রিক্সার আবেদন তার। রবিউল ইসলাম সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
কেশবপুর উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের হত দরিদ্র আয়েন উদ্দিন দপ্তরীর ছেলে রবিউল ইসলাম ধারদেনা করে ২০০৯ সালে মালেশিয়ায় যান। এক বছর কাজ করে ঋণ শোধ হতে না হতেই তার ভাগ্যে বিপর্যয় ঘটে।
মালয়েশিয়ার রাজধানি কুয়ালালামপুর শহরে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজ করা কালীন একদিন সকালে তিনি নির্মাণাধীন ভবনের ১৪ তলার উপর থেকে নীচে পড়ে যান। কর্মরত কোম্পানীর পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসা করালেও রবিউল আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি।
২০১০ সালে দেশে ফিরে বাড়ির সকলের গলগ্রহ হয়ে পড়েছেন তিনি। হত দরিদ্র রবিউল স্ত্রী আর ২ সন্তানকে নিয়ে কঠিন সময় পার করছেন।
বর্তমানে দিন মজুর স্ত্রীর আয়ের ওপর সংসার চলে । আবার অন্যের সাহায্য ছাড়া সে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারেন না। একটি হস্ত চালিত রিক্সা হলে রবিউল অন্যের সাহায্য ছাড়া চলা ফেরা করতে পারতেন।
পঙ্গু রবিউল দানশীল ব্যক্তিদের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠাতে সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখায় হিসাব নং ০০২০২৩৫৯৩, বিক্যাশ নং ০১৭৮৮-৫০৪৪৪৪ অথবা রবিউলের ০১৭১৭-১০৫৫৭৫ নম্বর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।