মোঃ আজিজুর রহমান ভূঁঞা বাবুল, ময়মনসিংহ ব্যুরো ::
১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ডাঃ খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদসহ পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ২৩ নভেম্বর এই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষামান রাখা হয়। আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।
প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন, এ মামলায় আসামি আটজন। এরমধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনজন মারা গেছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আব্দুল হান্নান, তার ছেলে মোঃ রফিক সাজ্জাদ (৬২) ও
মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩)। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন- হরমুজ আলী (৭৩), আব্দুস সাত্তার (৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩)। আর দুইজন আসামি পলাতক। তারা হলেন- ডাঃ খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ (৬৯) ও মোঃ ফখরুজ্জামান (৬১)। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর মামলায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ও তার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলার আইওসহ
১৩ জনের সাক্ষগহণ করা হয়।
উল্লেখ্য,২০১৬ সালের ১১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আসামিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও মরদেহ গুম- এই সাত ধরনের অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।