ডেস্ক রিপোর্ট:: ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে আরও দক্ষ হতে হওয়ার মন্তব্য করেছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। একই সঙ্গে ইনোভেশনের মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষাকে বাস্তবমুখী করার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ‘শেখ রাসেল ইনোভেশন ফেয়ার ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাদ্রাসা শিক্ষায় ইনোভেশন’ শীর্ষক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। কর্মশালাটি আয়োজন করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রীরা তথ্য প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছেন। একটু আগে আমি তাদের অনেক কিছুই দেখলাম। তারা আরো অনেক এগিয়ে যাবে, এটাই আমি আশা করি। মাদ্রাসার নানা প্রযুক্তিতে সুযোগ-সুবিধা, রয়েছে প্রয়োজনে আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুলকলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমানভাবে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখছে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার যে ধারা ছিল, সেগুলোর মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার ধারা রয়েছে। তাই যুগোপযোগী মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে একটি সম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশে আমাদের সরকারের গৃহীত টেকসই উন্নয়নে মাদ্রাসা শিক্ষার ইনোভেশন খুবই প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বেড়ে উঠতে পারেন, সেজন্য সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখবে-এটাই আমার আশা, যোগ করেন তিনি।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ এবং বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার কাজী জেবুন্নেসা বেগম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিতি ছিলেন।