ডেস্ক রিপোর্ট :: অস্ত্র আইনের মামলায় সোমবার ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে রায় ঘোষণার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মাদকের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিচার শুরুর নিদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর অষ্টম বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আমিরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।
এদিন আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক।
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সে সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।
পরে পাপিয়ার ফার্মগেইটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব। অভিযান চালানো হয় পাপিয়ার নরসিংদীর বাড়িতেও ।
গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। বিমানবন্দর থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আর মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে।
এর মধ্যে শেরে বাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় গত ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেন র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
অস্ত্র আইনের মামলায় গত ১২ অক্টোবর এই দম্পতির ২০ বছরের কারাদণ্ডের রায় হয়েছে।