যাদের খাদ্য তালিকায় মাছের উপস্থিতি বেশি, তাদের জন্য সুখবর৷ গবেষকরা দাবি করছেন, মাছ বেশি খেলে কোলোন টিউমার এর শঙ্কা কমে, যা প্রকারান্তরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়৷ এই গবেষণা অবশ্য মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য৷

 মহিলাদের মধ্যে যারা প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনবার মাছ খান, তাদের কোলন অর্থাৎ মলাশয়ের টিউমার হওয়ার আশঙ্কা কম৷ এই টিউমার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে৷ সপ্তাহে যারা একবার মাছ খান, তাদের সঙ্গে তুলনা করে এই তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা৷

মার্কিন এই গবেষণা চালানো হয় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের উপর৷ গবেষণার ফল বেরিয়েছে দ্য অ্যামেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’এ৷ তবে এই গবেষণায় এটা প্রমাণ হয়নি যে, সীফুড টিউমার থেকে রক্ষা করে৷ তবে এর আগে প্রাণীদের উপর চালিত এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর গড়ে এক লাখ চল্লিশ হাজার নতুন কোলোন এবং অন্ত্রক্যান্সারের রোগী সনাক্ত হয়৷ অ্যামেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির হিসেব অনুযায়ী, ২০ শতাংশ মানুষের যেকোন সময় এধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে৷

ক্যান্সার সংক্রান্ত নতুন এই গবেষণা সম্পর্কে হার্ভাড স্কুল অব পাবলিক হেল্থ’এর প্রফেসর এডওয়ার্ড জিয়োভানুচ্চি বলেছেন, এই গবেষণা আমাদের এই আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে যে, কিছু একটা আসলেই হতে চলেছে৷ এডওয়ার্ড অবশ্য এই গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন৷ গবেষকরা একটি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন৷ সেটি হচ্ছে, মাছের ওমেগা-থ্রি ফ্যাটের সম্ভবত একটি প্রদাহনাশক প্রভাব রয়েছে, যা অনেকটা অ্যাসপিরিনের মতো৷ এই প্রভাব টিউমার’এর বৃদ্ধি রোধ করতে পারে৷

আমেরিকার ন্যাশভিলে অবস্থিত ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হার্ভে মুর্ফ সর্বশেষ গবেষণাটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ গবেষকরা ৪,৩০০’র বেশি মানুষের খাদ্যাভাস নিয়ে গবেষণা করেছেন৷ এরা সবাই নিয়মিতভাবে কোলোনোস্কপি করেছেন৷ গবেষকরা এদের মধ্য থেকে ১,৪০০ জনকে বাছাই করেছেন যাদের টিউমার নেই এবং ৪৫৬ জন ছিলেন, যাদের টিউমার আছে৷ এরপর তাদের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যকার পার্থক্যগুলো সনাক্ত করা হয়েছে৷

এই মহিলাদের মধ্যে ২৩ শতাংশ ছিলেন যাদের আহার তালিকায় মাছের অস্তিত্ব একেবারেই কম৷ অন্যদিকে ১৫ শতাংশ মহিলা’র আহারের তালিকায় মাছের আধিক্য ছিল সবচেয়ে বেশি৷ দেখা গেছে, যারা বেশি করে সীফুড খেয়েছেন তারা যেকোনভাবেই হোক টিউমার থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন৷

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্বাস্থ্য ডেস্ক

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here