নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ও বাংলাদেশ উপকূলীয় উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি লায়ন শেখ মহিউদ্দিনের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশে বিএনপি থেকে সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জন্য সতর্ক সঙ্কেত বলে মন্তব্য করছে স্থানীয় এলাকাবাসী। পিছিয়ে পড়েছেন দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করা ও ভবিষ্যতে নির্বাচনের আখাঙ্কা পোষন করা নেতারা। এমনই মন্তব্য স্থানীয়দের।
মহিউদ্দিন সমর্থকদের মন্তব্য ঈদ পরবর্তী সময়ে কোম্পানীগঞ্জে লায়ন শেখ মহিউদ্দিনের গণসংযোগ এবং মানুষের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহনের মাধ্যমে মহিউদ্দিন নিজেকে একজন শক্ত প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে উপস্থাপনে সক্ষম হয়েছেন। এদিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রিক্সা চালক বোরহান উদ্দিন বয়োবৃদ্ধ মিয়াধন এ প্রতিবেদককে জানান, সাহায্য সহযোগীতার ক্ষেত্রে মহিউদ্দিন দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি দেখেনা। সবদলের লোকদের তিনি সাহায্য সহযোগীতা করেন এবং এলাকার জনগণকে সমান চোখে দেখেন। তিনি ছাড়া বিএনপির অন্য কোন নেতা সাধারণ জনগণের সাথে সম্পৃক্ত নাই বললেই চলে। সেক্ষেত্রে বিএনপিতে ব্যরিষ্টার মওদুদ আহমেদ পরবর্তী সময়ে মহিউদ্দিন নিজেকে গড়ে তুলতে সঠিক পথেই আছেন বলে বিশ্বাস দলীয় নেতাকর্মীদের। অপরদিকে বিএনপির একটি অংশ মনে করছে মহিউদ্দিনের এটি অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি। যা মওদুদ আহমেদ ও বিএনপির জন্য ক্ষতির কারন।
এলাকাবাসীর মন্তব্য, লায়ন শেখ মহিউদ্দিনের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ ও মওদুদ আহমদকে চ্যালেঞ্জ করার অর্থ ভবিষ্যতে অন্য কোন নেতা নোয়াখালী-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে যেন সুযোগ না পায় সেজন্য। রাজনৈতিকভাবে মহিউদ্দিনের আত্মপ্রকাশে ব্যরিষ্টার মওদুদ আহমেদ, কর্ণেল এনাম ও এডভোকেট জাকির হোসেন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন এমনই মন্তব্য এলাকাবাসীর।
মওদুদ পূর্ববর্তী সময়ে এডভোকেট জাকির হোসেন ও কর্নেল এনাম নোয়াখালী-৫ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। মওদুদ আহমেদ বিএনপিতে যোগদানের পর তিনিই নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির একমাত্র পছন্দের প্রার্থী হয়ে উঠেন। সরে দাঁড়াতে হয় কর্নেল এনাম ও এডভোকেট জাকির হোসেনকে। বিএনপিতে যোগদানের পরে এ আসনে মওদুদের কোন প্রতিদ্বন্ধী ছিলনা। কিন্তু মহিউদ্দিনের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ এখন সেটিও হুমকীর মুখে পড়েছে।
লায়ন শেখ মহিউদ্দিনের জন্ম উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে। তিনি পেশাগতভাবে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও অর্থনৈতিকভাবে বেশ স্বচ্ছল। রাজনীতি করার জন্য মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে তিনি সংগঠিত। তিনি দুই দশক ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে দলীয় একজন ডোনার হিসেবে কাজ করে আসছেন। সরাসরি রাজনীতির মঞ্চে নিজেকে কখনো উপস্থাপন না করলেও কোম্পানীগঞ্জের উপকূলীয় অঞ্চল তথা স্থানীয় গরীব মানুষের মাঝে একজন উদার, জনদরদী ও দানশীল ব্যক্তি হিসেবে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হতে চাইলে মওদুদ আহমেদকে ডিঙিয়ে হয়তো তিনি তা নাও পেতে পারেন। তবে একথা সত্যি যে, মওদুদ পরবর্তী সময়ে নিজেকে নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি থেকে একজন শক্ত দলীয় প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হতে পারবেন এবং প্রার্থীতা পেতেও পারেন। এ যদি হয় তাহলে তা হবে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জন্য সতর্ক সঙ্কেত।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ হাসান ইমাম রাসেল/নোয়াখালী