মন্ত্রীর বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ!জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালের শহরের বাড়ীর সৌন্দর্য রক্ষায় নোটিশ ছাড়াই ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘উচ্ছেদ’ করা হয়েছে।

রবিবার বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ করে শহরের চকবাজার এলাকায় জেলা পরিষদ থেকে বন্দোবস্ত নেওয়া দোকনঘর গুলো ভেঙে দেওয়া হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ শাজাহান আলি, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাব্বির রহমান সানি, জেলা পরিষদের লোকজন ও সদর থানা পুলিশ একদল শ্রমিক নিয়ে এই ‘উচ্ছেদ’ অভিযান চালায়। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, জেলা পরিষদ থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘ শত বছর ধরে শহরের মেইন রোডের পাশে এসব দোকান ভোগ দখল করে আসছেন তারা।

বিকালে প্রশাসনের লোকজন এসে তাদের দুই মিনিটের মধ্যে দোকানগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল সরানোর সুযোগও পাননি। তারা মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েন। মুহুর্তেই প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক টিনের চালাখুলে ফেলে সাইট ওয়াল গুড়িয়ে দেয়।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো হলো বায়েজিদ পোশাক বিতান, সজীব স্টোর ও বিন্দু কালেকশন। রাস্তা সম্প্রসারণের অজুহাতে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য তাদের উপর অবিচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থরা। এ ঘটনায় শহরের ব্যবসায়ীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বণিক সমিতির এক নেতা বলেন, মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য বন্দোবস্তকারীদের উচ্ছেদ করা ঠিক হয়নি। এতে আগামী সংসদ নির্বাচনের ভোটে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

ঘটনাস্থলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি কর্মকর্তা সাংবাদিকদের ক্যামরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি। পরে ভূমি কর্মকর্তা জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, জেলা পরিষদ আমাদের কাছে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়েছি। নোটিশ দিয়েছে কি দেইনি তা জেলা পরিষদের এখতিয়ার।

এদিকে উচ্ছেদ অভিযান কালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান গণমাধ্যমের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু দাউদ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, মন্ত্রীর বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষা করতে নয়, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য দোকানগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। ওই জায়গাটি একসনা বন্দোবস্ত ছিল। তাদের মৌখিকভাবে বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here