রাকিবুল হাসান, মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি ::

ভোলার মনপুরায় মেঘনায় নিখোঁজ শিশু রিয়াদের মরদেহ ২৪ ঘটার পর উদ্ধার করে কােস্টগার্ড। বুধবার বিকেল ৫ টায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের বাউল বাড়ি সংলগ্ন মেঘনায় ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরাদেহ উদ্ধার করে মনপুরা কােস্টগার্ডের সদস্যরা। পরে সন্ধ্যায় সাড়ে ৬ টায় শিশুটির মরাদেহ সুরতহাল ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছ হস্তান্তর করে ওসি সাইদ আহমেদ।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক সংলগ্ন মেঘনায় অন্যান্য শিশুদের সাথ সাঁতার কাটতে গিয় শিশুটি নিখোঁজ হন।

মনপুরা কােস্টগার্ড কন্টিজেট কমান্ডার আসলামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে কােস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক পৃথক দল শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে। কিছুক্ষন পর রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ থাকে।

পরদিন বুধবার সকালে ফের মেঘনার বিভিন পয়েন্টে নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে কােস্টগার্ড। পরে বিকেল ৫ টায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের বাউল বাড়ি সংলগ্ন মেঘনায় ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরাদেহ উদ্ধার করা হয়। এই সময় শিশুটির হাতে এক-থেকে দেড় ফিট কারেন্ট জাল ছিল।

তিনি আরও জানান, পুলিশের মাধ্যমে নিখোঁজ শিশুটির মরাদেহ পরিবারের কাছে হস্তান করা হবে। তিনি দাবী করেন সাঁতার কাটতে নয় বরং জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে মেঘনায় পড়ে গিয়ে শিশুটি নিখোঁজ হন। উদ্ধার হওয়া সাত বছরের শিশু রিয়াদ উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিরাজের সন্তান।

এদিকে নিখোঁজ শিশুটির লাশ উদ্ধারে খবর পয়ে পরিবারের সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তবে শিশুটির মা শিশুটির নাম ধরে ডেকে কান্নায় বারবার মূর্ছা যেথে দেখা গেছে। এই ঘটনায় এলাকায় শােকের ছায়া নেমে আসে।

এই ব্যাপারে মনপুরা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আমানত উল্লাহ আলমগীর জানান, শিশুটির মৃত্যুতে এলাকায় শােকের ছায়া নেমে আসে। সবাই এই ঘটনায় মর্মাহত।

এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, উদ্ধার হওয়া শিশুটির সুরতহাল রির্পোট শেষে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here