রাকিবুল হাসান, মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি ::
ভোলার মনপুরার নিখোঁজ ১৩ জেলেকে বুধবার ভোর রাত ৪ টায় সাগরে ভাসমান অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করে হাতিয়া ও সন্দীপের ফিসিংবোট। জেলার জীবিত উদ্ধার হওয়ায় পরিবারের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হাতিয়া ও সন্দীপে নিরাপদে রয়েছে বলে সময়রে আলোকেনিশ্চিত করেন উদ্ধার হওয়া জেলেদের পরিবার ও আড়তদাররা।
এছাড়াও বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় মুঠোফোনে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় উদ্ধার হওয়া জেলেদের। এই সময় তারা উদ্ধার হওয়ার ঘটনা বর্ননা শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে।
তারা জানান, ট্রলার ডুবে যাওয়ার সময় হাতিয়া কোস্টগার্ডের কাছে মুঠোফোনে সহযোগিতা চান জেলেরা। তখন কোস্টগার্ড উদ্ধারে সাগর মোহনায় আসছে বলে জানালেও কোস্টগার্ড আসেনি। একপর্যায়ে হাতিয়ার উড়িরচর সংলগ্ন পূর্বপাশে সাগর মোহনায় জামাল মাঝির ট্রলার ও সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড সংলগ্ন সাগর মোহনায় প্রবল ঝড়ো বাতাসে সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনের ট্রলার ডুবে যায়। তখন দুই ট্রলারে নিখোঁজ ১৩ জেলেকে প্রবল ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অতল সাগরে। পরে কেউ ট্রলারে কাঠ, কেউ ভাসমান গাছ ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকে। এক পর্যায়ে হাতিয়া ও সন্দীপের ফিসিং বোট ফেরার পথে সাগরে ভাসতে দেখে আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বুধবার বিকেলে সাড়ে ৩ টায় জামাল মাঝির ট্রলারে ৭ জেলে ও সাবেক চেয়ারম্যানে আলাউদ্দিনের মৎস্য আড়তের ট্রলারে ৬ জেলে মনপুরার উদ্দ্যেশে রওয়ানা করেছেন বলে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন।
এই ব্যাপারে ডুবে যাওয়া ট্রলার মালকি জসমি জানান, নিখোঁজ জেলেদের সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করে হাতিয়া ও সন্দীপের ফিসিং বোট।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, সাগরে নিখোঁজ জেলারা সবাই জীবিত উদ্ধার হয়েছে। তারা বুধবার সন্ধ্যা বা রাতে মনপুরায় আসবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১১ টায় বঙ্গোপসাগর মোহনায় নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল ঝড় ও ঢেউয়ের তোড়ে মনপুরার ৫ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে দুই ট্রলারে ১৩ জেলে নিখোঁজ হয়।