রাকিবুল হাসান,মনপুরা প্রতিনিধি ::
ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে চলতি বছরের ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার আগের আগ মুর্হতে ভোলায় মনপুরায় জেলের জালে মিললো ২ কেজি ৯শ গ্রামের ইলিশ। স্থানীয়দের ভাষায় রাজা ইলিশ।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে স্থানীয় বসির মাঝি জালে মেঘনা নদীতে এ ইলিশ ধরা পড়ে। পরে বিকাল ৩ টায় দক্ষিণ সাকুচিয়া তালতলা ঘাটে সাত্তার ব্যাপারীর আড়তে বিক্রয় করেন ।
জেলে বশির মাঝি বলেন রবিরার সকালে ২ দিনের জন্য মেঘনায় যাই । আজ সকাল ৭ টার সময় চরপিয়ালের কাছাকাছি মেঘনা নদীতে জাল ফেলে বিভিন্ন সাইজের ইলিশের সঙ্গে ২ কেজি ৯শ গ্রামের রাজা ইলিশটি উঠে আসে। পরে মাছ গুলো বিক্রয়ের জন্য তালতলা নিয়ে আসি। এরপর গদিতে মাছ ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ডাক তুললে আড়ৎদার সাত্তার ব্যাপারী সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৯০০ টাকা দাম ধরে মাছটি ক্রয় করেন। ইলিশের মৌসুমে আমার জালে আর এত বড় সাইজের ইলিশের দেখা মিলেনি । তবে অন্যন্যা মাঝের পেটে অনেক ডিম রয়েছে।
মনপুরা তালতলা ঘাটের ব্যবসায়ী সাত্তার ব্যাপারী বলেন, সোমবার সকালে স্থানীয় বশির মাঝির ট্রলারে মাছটি ধরা পড়ে। পরে
তালতলা মাছ ঘাটের আড়তে এনে তিন হাজার নয় শত টাকা মাছটি ক্রয় করি । সেই মাছটি কিনে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। আমার আশা ইলিশটি ঢাকায় গেলে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো।
মনপুরা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা বিক্টর ভাইন জানান, গত মা- ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা সংরক্ষণ অভিযানগুলো মেঘনা নদীতে সফলভাবে পরিচালনা হওয়ায় নদীতে বর্তমানে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পরছে। আর এখন মৌসুমী আবহাওয়ার কারণে এত বড় সাইজেরে ইলিশ জেলের জালে ধরা পরছে। সামনে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ২২ দিন অভিযান সফল হলে মেঘনায় ২-৩ কেজির ওজনের ইলিশ আরও বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে।