প্রতিনিধি :: পানির অপর নাম জীবন। তাই পানির কোন বিকল্প নাই। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে সুপেয় পানি খাকতে হবে। আর সেজন্য পানি বিথিমালা চুড়ান্ত হচ্ছে।
গত বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোলা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩ এর অধীন প্রণীত চুড়ান্ত বাংলাদেশ পানি বিধিমালা-২০১৭ (খসড়া) এর বিধানাবলী অবহিতকরন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্টিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে, পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) এর আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ।
বিশেষ আতথি ছিলেন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) এর মহাপরিচালক খন্দকার খালেকুজ্জামান। আরো বক্তৃতা করেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব বেগম শামিম আরা খাতুন. যুগ্ম প্রধান মন্টু কুমার বিশ্বাষ, ওয়ারপো এর পরিচালক(পরিকল্পনা) এস এম ফিরোজ আলম, আতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) সুব্রত কুমার শিকদার এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যাযের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক বলেন, ভোলার চারপাশে বন্যনিয়ন্ত্রন বাধ, ভেরি ওপর বন্যকবলিত জনগন বাস করছেন। একই সংগে এই বাধ সড়ক ও জীবনধারনের আশ্রয় হিসাবে ব্যবহ্রত হচ্ছে।
পনি ব্যবস্খাপনা নাগরিক কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভোলা জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের বলেন, ভোলায় পুকুর ভরাট হচ্ছে, যা জলাবদ্ধতার কারন। তাই আমাদের নদী, খাল ওপুকুর খনন জরুরী।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, দেশে ৪০৫টি নদী আছে। এর মধ্যে ৫৭টি নদী সীমান্তে। ৫৪টি নদী ভারতের সংগে ।এবং ৩টি মিয়ানমারের সংগে।আমাদের য়খন পানির দরকার তখন পনি পাই না। আর যখন দরকার নাই তখন পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছি।যেখানে লবন পানি বেশি. সেখানে সুপেয় পানি দিচ্ছে না। অর্থাৎ সমন্বয় নেই। আমাদের নদী,খাল ওপুকুর খনন জরুরী। এর সংগে জড়িত স্থানীয় সরকার, পানি সম্পদ ও কৃষি সম্পদ মন্ত্রনালয়।আমাদের মধ্যে সমন্ময়টা যদি থাকত, তবে সুন্দরভাবে পানি বন্টন করতে পারতাম। বাংলাদেশ পানি বিধিমালা-২০১৭ সহজ পাঠ বইটি তৈরী করার জন্য তিনি বেসরকরী সংস্থা ডরপ, ওয়াটারশেড এবং পনি ব্যবস্খাপনা নাগরিক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সকল দপ্তরকে এক হয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার আহবান জানান।