কিশোরগঞ্জের ভৈরব সেতু নির্মাণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পায়নি দুর্নীতি দমক কমিশন (দুদক)।
দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান মঙ্গলবার কমিশন কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভৈরব সেতুর অনিয়ম নিয়ে করা মামলার অনুসন্ধান কাজ আর না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।’
তবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে অনিয়ম নিয়ে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপপু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে বিভিন্ন অজানা উৎস থেকে টাকা এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সঠিক কোনো উৎস জানাতে পারেনি। উৎসবিহীন টাকা হলেই তা অসাধু উপায়ে সংগৃহিত হয়।
শাহাবুদ্দিন আরো বলেন, সব ডকুমেন্টস বিশ্লেষণ করে চার্জশিট চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই চাজর্শিট দাখিল করা হবে। এজাহারভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধেই এই চার্জশিট দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, বিভিন্ন ফ্যাক্টস কমিশন বিশ্লেষণ করবে। সকল প্রমাণাদি কমিশনে উপস্থাপিত হয়নি। উপস্থাপিত হলেই এটা দাখিল করা হবে।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত বছরের আগস্টে বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া ও তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এ মামলায় ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এছাড়া দুজনের জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভৈরব সেতু নির্মাণে দুর্নীতি বিষয়ে নিরপেক্ষ থেকে অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছে দুদক। এতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি পাওয়া যায়নি।
সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অভিযোগ করা হয়েছিল, দরপত্রের নির্ধারিত মূল্যের বাইরে প্রায় একশ’ কোটি টাকা বেশি দেওয়া হয়েছিল ভৈরব সেতুর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার