ভিন্ন পথ খুঁজে নেওয়া আর দ্রুত ক্ষমতায় যাওয়ার দিন শেষ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভিন্ন পথে আর ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান চেষ্টার জন্য প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের বক্তব্য-বিবৃতি বিশ্লেষণ করলেই ‘অনেক কিছু’ স্পষ্ট বোঝা যায়।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আজ শনিবার গণভবনে এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কিছু বলার থাকলে তা সংসদে এসে বলুন। ভিন্ন পথ খুঁজে ক্ষমতায় যাওয়া বাংলাদেশে আর হবে না ইনশাল্লাহ।
সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির ইন্ধনে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন ধর্মান্ধ কর্মকর্তা সম্প্রতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করার প্রয়াস চালায়, যা সেনাবাহিনীর ঐকান্তিক চেষ্টায় প্রতিহত করা হয়েছে।
এই অভ্যুত্থান চেষ্টা রুখে দেওয়ায় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এতে তারাও বেঁচে গেছে, দেশও বেঁচে গেছে।
‘বর্তমান সরকারের সময়ে সেনা সদস্যদের গুম করা হচ্ছে’- গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামে এক সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার এমন অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলও মনগড়া, বিভ্রান্তিকর ও প্রচারমূলক সংবাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিযোগ করে, যা সেনাবাহিনী তথা সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত উস্কানিমূলক বিতর্কের সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাদের (বিরোধী দল) বক্তৃতা, বিবৃতি একবার অ্যানালাইসিস করা হলেই অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে দেশের মানুষের কাছে।
অতীতে সেনাবাহিনীর ‘কাঁধে বন্দুক রেখে’ যারা ক্ষমতায় এসেছে; তারা হত্যা, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষতি করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গণভবনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এ সভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা, সদস্য এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা ও সদস্য, জাতীয় কমিটির সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, দলের জাতীয় সংসদ সদস্য, নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত সকল উপজেলা, থানা এবং পৌরসভা, ইউনিয়ন শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দল সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জেলা ও উপজেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত রয়েছেন।