সুমাইয়া জাহান সামিনা:: প্রায় দুই হাজার বছর আগে তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যে ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপন শুরু হয়। বাংলাদেশে পাশ্চাত্য  ও বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির মিশ্রণে একটু ভিন্নভাবে “বিশ্ব ভালোবাসা দিবস” নামে এখানে ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালিত হয়।

তরুণ-তরুণী শুধু নয়, নানা বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন,তবে এ ভালোবাসা শুধু নারী পুরুষের জন্য নয় এ দিন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিন।

কিন্তু একটি দিন ভালোবাসার জন্য কেন?`
কবি নির্মলেন্দ গুণের জবাব, ’ভালোবাসা একটি বিশেষ ৭ দিনের জন্য নয়। সারাবছর, সারাদিন ভালোবাসার। তবে আজকের এ দিনটি ভালোবাসা। দিবস হিসেবে বেছে নিয়েছে মানুষ।`
তবে ভালবাসা আসলে মুক্ত আকাশের মতোন যেখানে শুধুই থাকবে মুক্ত হবার উচ্ছাস
থাকবে না কোনো পিছুটান!

এমন একজন মানুষ দরকার যে মানুষ টার উপর আপনি পুরো দুনিয়ার সব রাগ ঝারতে পারবেন ,খুব কষ্টের দিনে ওই মানুষ টাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে  পারবেন।এমন একটা মানুষ দরকার যে আপনার পাশে কিছুটা সময় চুপ করে বসে থাকবে আর আপনার সমস্ত কষ্ট গুলো নিমিষেই উধাও হয়ে যাবে।এমন একটা মানুষ যাকে সব কথা না বললেও তিনি আপনার সব কথা চোখ দেখে বুঝে নেয়। এমন ভালবাসা এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন,’সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, তোমাকে শুধু এমন একজন কে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।’

আর এমন মানুষ একবার পাবার পর যদি কোনো ভাবে হারায় যায় তবে ওই জায়গা আর কোনোদিন ই কাউকে দেওয়া যাবে না। ভালোবাসা সব সময় সুখ বয়ে আনেনা, কখনো তা তৈরি করে বেদনা।

অপেক্ষা ও এক ধরনের ভালোবাসা।এ বিষয়ে প্রিয় কথাসাহিত্যিকদের হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, “অপেক্ষা হলো শুদ্ধতম ভালোবাসার একটি চিহ্ন। সবাই ভালোবাসি বলতে পারে। কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালোবাসা প্রমাণ করতে পারে না”

তবে শুধু মানুষে মানুষে ভালবাসা নয় এই পৃথিবীকেও যেনো আমরা ভালোবাসি বিশেষভাবে।

পৃথিবীর সকল ভালবাসা টিকে থাকুক তাদের নিজেদের পথ ধরে। ভালো থাকুক সবার ভালবাসা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here