শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর                                     

ভারত থেকে চোরাই পথে শেরপুরে আসছে মাদকদ্রব্যসহ নানা পন্য সামগ্রী। যাচ্ছে চামড়া। এসব মাদকদ্রব্যসহ নানা পন্যসামগ্রী কেনা বেচা হচ্ছে ওপেন সিক্রেট। বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে আটক করছে ফেনসিডিল, অফিসার চয়েজ, ডেঙ্গু, ইয়াবাসহ নানা ব্র্যান্ডের মাদক দ্রব্য।  ইদানিং হঠাৎ করেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাচালানকারীরা। শ্রীবরদী উপজেলার সীমান- এলাকায় মাদকসেবী ও চোরাকারবারীদের ঘনঘন আনাগোনাও বেড়েছে । এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকসহ এলাকার সচেতন মানুষ। স’ানীয় লোকজনসহ বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার মেঘাদল, কর্ণঝোরা, হারিয়াকোনা, চান্দাপাড়া, বালিজুরি, খারামোরা, শিমুলচুড়া, ভটপুর, বিলভরট, মালাকোচা, নয়াপাড়া, ভায়াডাঙ্গা, ঝগড়ারচরসহ ১৫/১৬টি গ্রামেই গড়ে উঠেছে চোরাচালানির মাদকদ্রব্য বেচা কেনার নিরাপদ স’ান। বিজিবি, পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ওইসব এলাকায় একাধিকবার হানা দিয়ে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় মালামাল উদ্ধার করেছে। আটকও হয়েছে মাদক ও চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত মজিবরসহ  ৩০/৩৫ জন। এতে গা ঢাকা দিয়েছিল ওই চক্রটি। কিন’ সমপ্রতি আইন শৃংখলাবাহিনীর অভিযান ভাটা পড়ায হঠাৎ করেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাচালানকারীরা।

সূত্র মতে, ভারত থেকে চোরাই পথে আসছে ফেনসিডিল, রয়েল স্ট্যাজ, হুইসকি, অফিসার চয়েজ, ডেঙ্গু, হেরোইন, গাজাঁসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য, প্রশাধনী সামগ্রী, তারাইবাশঁ, জিরা, গরু ইত্যাদি। ভারতে পাচার হচ্ছে গরুর চামড়া, শুটকি মাছ, দেশি মুরগিসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এসব পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সীমানে-র মেঘাদল চৌরাস-া বাজার হয়ে হারিয়াকোনা, বালিজুরি বাজার হয়ে খারামোরাসহ কয়েকটি স’ান। চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন একাধিকবার মাদকদ্রব্যসহ আটকও হয়েছে। কিন’ রহস্যজনক কারণে আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে তারাবেড়িয়ে আসছে সহজেই।  কর্ণঝোরার বাচ্চা গেল্লা, নবী নগরের বাবুল ওরফে পচা বউলা, মাটিফাটার মজিবর, মেঘদলের দুলালসহ বেশ কিছু লোক ইদানিং ওইসব অবৈধ ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব চোরাচালানকারীদের সাথে মাদক সেবীদের ঘনঘন আনাগোনা ও বেচাকেনায় সক্রিয় বলে জানান স’ানীয় অনেকে। এতে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রসহ উঠতি বয়সের যুবকরা আসক্ত হচ্ছে বেশি। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকসহ অনেকে। সিংগাবরনা ইউপি চেয়ারম্যান আবু রায়হান বাবুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সীমান- এলাকা দিয়ে চোরাই পথে মাদকদ্রব্য আসছে। তাই এ এলাকার অনেকে ওইসব ব্যবসার সাথে জড়িয়েছে। তবে এখন মাদক মুক্ত করতে ইউনিয়নে বিশেষ অভিযান চলছে। এতে গ্রাম্য পুলিশ ও সচেতন লোকজন বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।

শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ পিএসএম মোস-াছিনুর রহমান (পিপিএম সেবা) বলেন, অভিযান অব্যহত আছে। কেউ এর সাথে জড়িত থাকলে অবশ্যই আটক হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here