ছালেহা বেগম: প্রাকৃতির কুয়াশার চাঁদরে মুড়ানো শীতের সকাল বেলায় ধোয়া উড়ানো গরম-গরম পিঠা, চোখে দেখলেই যেন পেট ভরে তৃপ্তি মিটে। এটি গ্রামের চির চেনা দৃশ্য বা গল্পের কথা নয়। ইট-কাঠের ব্যস্ত নগরী রাজধানীতে এক শীতের সকালের দৃশ্য। আজিমপুর সরকারী কলোনীর কামিনী ভবনে বসবাসরত সরকারের উচ্চপর্যায়ের ২২টি পরিবার গত ৩১ জানুয়ারি আয়োজন করেছিল ব্যাতিক্রমি এক ‘ভাবীদের পিঠা-পয়েস উৎসব-২০১৪’।

ঘড়ির কাটায় সকাল ৭টা বাজার সাথে সাথে শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে ভবনের সব ভাবীগন একে একে পিঠা নিয়ে নিচে চলে আসেন। ভবনের নিচের খালি জায়গায় সবাই টেবিল বসিয়ে পিঠা মঞ্চ তৈরী করে। বিভিন্ন ধরণের পিঠায় মঞ্চ ভরে গিয়ে গ্রাম বাংলার মতই পিঠার সুগন্ধ কামিনী ভবনের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ উৎসব কোন আয় রেজগারে জন্য নয়, শুধুমাত্র ভবনটির পরিবারগুলোর মধ্যে সামাজিক বন্ধন তৈরী করার জন্যই। পিঠা উৎসবে স্থান পায় ভাপা, পাটি শাপটা, পুলি, নারকেল পুলি, মুগ পাক্কন, সবজি পাকড়া, পায়েস, কাবাব, সবজির ভাপা পিঠা, দুধ চিতই, ফুলকপির সবজি, পলাউ, ভূনা খিচুড়ি, মুরগির ও গরুর গোস্তের ভূনা।

পিঠা উৎসবে যোগ দেয় ভবনটি ২২টি পরিবারের সকল সদস্য। যে যার মত পছন্দ অনুসারে পিঠা খেয়েছে। কুশল বিনিময় করেছে একে অন্যের সাথে। পিঠার মঞ্চের পাশেই তৈরী করা হয় গানের মঞ্চ। ভাবীদের পিঠা উৎসবে অতিথি হয়ে গান পরিবেশন করেন সাগার ওয়াহিদ।

মা-মেয়ে শা‎হনাজ পারভীন ও ফাবিয়া মাহমুদ গেয়েছেন যেŠথ ভাবে। নজরזল সংগীত গেয়েছেন প্রফেসর ড. মোঃ সুলতান মাহমুদ, যুগ্ম সচিব মোসাম্মদ নাসিমা বেগম, শাহনাজ পারভীন গেয়েছেন রবীন্দদ্ধ সংগীত। নিজেদের মধ্যে বিভিনœ ধরনের পিঠা বিনিময় ও গানের সুর সকাল বেলায় কামিনী ভবনের বাসিন্দানের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি তৈরী করে দেয়। শত কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে এ এক অনন্য অয়োজন।

 

 

 

 

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here