মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (থুলনা) প্রতিনিধি ::
ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে খুলনার পাইকগাছায় বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ে ধান গাছ মাটিতে পড়ে পানিতে ডুবে থাকায় পাকা ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বীজ উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছে খামার কর্তৃপক্ষ।
গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার ঝড়ে খামারের ৫০ একর জমির ধান ক্ষেত লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে পাকা ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাটিতে নুয়ে পড়া ধান পানিতে ডুবে থাকায় পরাগায়ন না হওয়া, ধান চিটা ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে। তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে। খামারে আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিল।
উপকূলে অবস্থিত এ খামারটিকে লবণ পানিসহ বারেবারে প্রাকৃতিক দূরে্যাগ মোকাবেলা করে ফসল ফলাতে হয়। খামার সূত্রে জানাগেছে, ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে খামারে ৬০ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। ব্রিধান ৩০ জাতের ৩৪ একর, ব্রিধান ৭৩ জাতের ৪ একর, ব্রিধান ৭৮ জাতের ৪ একর ও বিআর ২৩
জাতের ১৮ একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত খামারের ১০ একর জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকী ৫০ একর জমির ধান বাসাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে, পানিতে পড়ে ও কুশি ঝরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে রয়েছে। এবস্থায় ঝড় হাওয়ায় ধানের পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তান্ডবে চলতি মৌসুমে আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খামারে ব্রিধান ৭৩ জাতের ৪ একর পাকা ধান পানিতে পড়ে ও বিআর ৩০ জাতের ৩৪ একর জমির ধান পরিপক্ষ, আধাপরিপক্ষ ও সবে মাত্র ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঝড়ো হাওয়ায় ফুল ঝরে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে। ধানের গুনগত মান নষ্ট হবে এতে আশানারূপ বীজ উৎপাদন হবে না বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩-২৪ আমন মৌসুমে ৬০ একর জমিতে ৯২টন বীজ ধানের লক্ষ্যমাত্র হলেও বীজ পাওয়া যেতে পারে ৬৫-৭০ টন। তবে ধান কেটে ঝাড়াই করার পর পরীক্ষা করলে সেটা জানা যাবে।