বোতলে দুধপানকারী শিশুদের চেয়ে মাতৃদুগ্ধপানকারী শিশুরা বেশি কাঁদে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব শিশু বুকের দুধ পান করে তারা অস্থির প্রকৃতির হয়ে থাকে। এ নিয়ে মায়েদের চিন্তা করার কিছু নেই।

শিশুদের জন্য বুকের দুধ সবচেয়ে ভালো উল্লেখ করে ব্রিটেনের মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের একটি দল জানায়, এ ধরনের শিশুদের চঞ্চল হওয়াটা স্বাভাবিক এবং যেসব শিশুকে বোতলের দুধ খাওয়ানো হয় তাদের সহজে শান্ত করা যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাবা-মায়েরা যদি তাদের শিশুদের ক্ষেত্রে বাস্তবিক কিছু প্রত্যাশা করেন তবে তাদেরকে বুকের দুধই পান করাতে হবে।

বর্তমানে ইউকের বেশির ভাগ মা তাদের শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে এ হার এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসে। শিশুর জন্মের পর প্রথম ছয় মাস বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। মহিলারা মনে করেন, শুধু বুকের দুধে তাদের শিশুদের ক্ষিদে মেটে না আর এ কারণেই তারা বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে বোতলের দুধ খাওয়ানো শুরু করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের অসি’রতাকে নেতিবাচকভাবে নেয়ার কারণেই তারা এটা করে থাকেন।

শিশুদের কান্নার বিষয়টি খুব স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা এবং তারা বলছেন, প্রয়োজনে তাদের মায়েদের সাথে যোগাযোগের এটা একটা মাধ্যম। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তারা আরো বলছেন, কিছু শিশু ক্ষিদে পাওয়ার কারণে নয় বরং ঘুমিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ায় কান্নাকাটি করে। গবেষক কেন অং বলেন, বোতলের দুধ খাওয়া শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি বেশি ওজনের হয়ে থাকে।

তবে গবেষকেরা মনে করেন, বুকের দুধ পানকারী শিশুদের অধিক চ্যালেঞ্জিং মেজাজের মনে হতে পারে ও তারা বেশি কাঁদে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here