ডেস্ক রিপোর্ট : : পহেলা বৈশাখে ক্রেতাশূন্য রাজধানীর বাজারে হালিতে ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা কমেছে ইলিশের দাম। অন্যান্য মাছের দামও কমেছে কেজিতে ১শ’ থেকে দেড়শ টাকা। তবে দাম বেড়েছে রমজানে বাড়তি চাহিদা থাকা শসা, বেগুন আর কাঁচামরিচের। এদিকে, সকাল সকাল কারওয়ানবাজারে কাঁচামাল কিনে পরিবহন সংকটে আটকা পড়েন আশপাশের বাজারের অনেক দোকানি।

পহেলা বৈশাখ আসলেই পাতে এক টুকরো ইলিশ হলেও পড়তে হবে। এ যেন অঘোষিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আর  সময়টা ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় বন্ধ থাকে মাছ ধরা। এরপরও ক্রেতা চাহিদার সুযোগে দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। আকাশচুম্বী দামের চিত্র বরাবরই থাকে বাজারে। সেখানে এবার চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন।

সর্বাত্মক লকডাউনের প্রভাব পড়েছে বাজারে। মাছ বাজারে ফাঁকা অনেক দোকান। যারা দোকান সাজিয়েছেন তারা জানান, চাহিদা না থাকায় কমেছে ইলিশের দাম। দুই তিনদিন আগের তুলনায় কমেছে অন্য মাছের দামও।

তবে রমজানের অনুসঙ্গ কিছু পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। শসা, বেগুন, কাঁচামরিচ আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫-১০টাকা বেশিতে। তবে, ক্রেতা কম থাকায় মাল পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তাদের।

মাংসের বাজারেও ক্রেতা শূন্য পরিস্থিতি। মুরগির দাম কিছুটা কমলেও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।

তবে লকডাউনে পণ্য সরবরাহে কোন সংকট নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। যথারীতি প্রতিরাতের মতোই দূরদূরান্ত পণ্যবাহী ট্রাক ঢোকে রাজধানীর কাওরানবাজারে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here