ডেস্ক রিপোর্টঃঃ তেল আমদানিতে বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ এবং পরিবেশবান্ধব গণপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইলেকট্রিক পরিবহন আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
পাশাপাশি কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থায় পাবলিক বাসের আমদানি শুল্ক অন্তত ৯ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) এমন দাবি উপস্থাপন করে শুল্কছাড়ের বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ইলেকট্রিক পরিবহন আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, যান্ত্রিক পরিবহনের দূষণ থেকে সবুজ প্রকৃতির নির্মলতাকে রক্ষা করার জন্য দুনিয়াব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানী (ফসিল ফুয়েল) বিহীন মোটরযানের উৎপাদন, প্রযুক্তি ও ব্যবহার নিয়ে গবেষণা দুই দশক আগ থেকেই জোরালো হয়ে উঠেছে। বিপজ্জনক ও দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ থেকে বর্তমান এবং আগামীকে রক্ষা করতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ সংক্রান্ত শুল্ককর কাঠামো ঢেলে সাজাবে এবং দূষণমুক্ত মোটরযান আমদানিকে আন্তরিকভাবে উৎসাহিত করবে বলে আমরা আশা করি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) বায়ু দূষণ, জনস্বার্থ ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ২৫০ ইউনিট ইলেকট্রিক বাস আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে।পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ফসিল ফুয়েলের চেয়ে ইলেকট্রিক ভেহিক্যালে কমপক্ষে চারগুন বেশি জ্বালানি সাশ্রয় হয়। পরিবহন খাতে জ্বালানি তেল ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেলে অতি দরকারি বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে তেল আমদানি যেমন কমবে, তেমনি সংকটকালে বৈদেশিক মুদ্রার সংরক্ষণ করবে।
পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে স্বাস্থ্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে স্বাস্থ্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সড়কে মানসম্পন্ন যাত্রীবাহী বাস পরিচালনা সময়ে দাবি। যুক্তিগত উৎকর্ষতায় তৈরি এসব বাসের মূল্য অত্যধিক বেশি বলে রাজস্ব নীতি সহায়ক না হওয়া এ ধরনের বাস আমদানি করা যাচ্ছে না। এসব বাস আমদানির সুযোগ হলে দেশে নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এর ফলে প্রাইভেট কার ব্যবহারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। তা যানজট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি আমদানি শুল্ক ১০ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন।
এমন প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বলেন, গণপরিবহণের বিবেচনায় এমন প্রস্তাব অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করব।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরের পক্ষ থেকে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদসহ বারভিডার নেতৃবিন্দ উপস্থিত ছিলেন।