সরকারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যাংক ঋণ জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
সেই সাথে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়াকে উদ্বেগের সাথে দেখছে সংস্থাটি।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে বাংলাদেশে সামগ্রিক উন্নয়নের ওপর আইএমএফের এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন সংস্থার ঢাকা অফিসের প্রতিনিধি কিতেরি কিন ত্রেডজে।
তিনি বলেন, দেশের আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্যহীনতা ভবিষ্যতের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। এর চেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া।
ঝুঁকি সামাল দিতে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মত রিজার্ভ রাখতে পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, অন্য সব দেশের চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মত রিজার্ভ থাকলেও বাংলাদেশের এ ধরনের রিজার্ভ আছে মাত্র তিন মাসের।
তবে এ সমস্যার ভিতর দেশের রাজস্ব ও রপ্তানি আয়ে বেশ সফল বলে মনে করছেন এই আইএমএফ কর্মকর্তা।
মুল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটে উপনীত হয়েছে। সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পরিমাণ না কমালে এ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।’
কিন ত্রেডজে বলেন, ‘সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে ভর্তুকি খাতের বরাদ্দ কমালে দেশের সমষ্টিক অর্থনীতির জন্য ভাল হবে। বর্তমানে জিডিপির চার শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ভর্তুকি খাতে। আর যার তিন দশমিক চার শতাংশ ব্যয় হয় জ্বালানি খাতে। তাই জ্বালানি তেলের ওপর ভর্তুকি কমালে মূল্যস্ফীতি অনেক কমে যাবে।’
উল্লেখ্য, গত ছয় মাসে দুই বার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিজেল ছাড়া অন্যান্য পেট্রোলিয়াম বিশ্ব বাজারের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
পেট্রোল ও অকটেন থেকে সরকার লিটার প্রতি ১০ টাকা মুনাফা করছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে এ বিষয়টি মন্তব্য করেনি জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা