
শেখ মোঃ আবুল বাসার, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি ::
অবৈধ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, অবৈধ পার্কিং, অপরিকল্পিত ব্রিজস্কেল, মহাসড়কের উপর লোড আনলোড, কয়লা ও বালুর ড্যাম্পের জন্য সংকীর্ণ হয়ে পড়া যশোর খুলনা মহাসড়কের রাজঘাট শেষ সীমানা থেকে রুপদিয়া পর্যন্ত এখন মরনফাদ। সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় নানা দূর্ঘটনা, বেড়ে চলেছে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা। সাথে যোগ হয়েছে নিয়মিত যানজট।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের নওয়াপাড়া ফেরিঘাট থেকে রুপদিয়া পর্যন্ত প্রায় পুরো সড়কই বিভিন্ন খানাখন্দকে ভর্তি, বেঙ্গল রেলক্রসি, ভাংগাগেট, বসুন্দিয়া রেলক্রসিং এলাকা অচল প্রায়। মাঝে মাঝে দেখা যায় নিন্ম মানের কিছু ইট দিয়ে সড়কটি কোন রকমে চলাচলের উপযোগী করে রাখার চেষ্টা করতে। সারা সড়ক জুড়ে আছে উঁচু নিচু ঢিবি।
পুরো মহাসড়ক জুড়ে অদক্ষ চালকের হাতে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়ায় নসিমন, করিমন, ইজিবাইক, মটর চালিত ভ্যান, মাহেন্দ্রর মত অবৈধ যানবাহন। মহাসড়ক জুড়ে এদেরই রাজত্ব। এ ছাড়া ও অদক্ষ চালকের হাতে বেপরোয়া গতিতে চলছে বালি ও কয়লা বহনকারী কয়েকশ ড্যাম্প ট্রাক। খোলা ট্রাকে বহনকরা বালি ও কয়লা সড়ক জুড়ে উড়তে থাকে, যা সড়কে চলাচলকারী মানুষের চোখে মুখে প্রবেশ করাসহ হোটেল-রেস্তোরা ও বাড়িতে প্রবেশ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করছে। এদের চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য যেন কেউ নেই। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, নিয়মিত মাসিক চুক্তিতে টোকেনের মাধ্যমে চলছে এ সব অবৈধ যানবাহন।
নওয়াপাড়া বানিজ্য কেন্দ্র হওয়াতে মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে অনেকগুলি ব্রিজস্কেল। এই সকল ব্রিজ স্কেল ব্যাবহারের জন্য তাদের কোন নিজস্ব পার্কিং এর যায়গা না থাকায় মহাসড়কের উপর থাকে ট্রাকের দীর্ঘ সারি, এ জন্য নিয়মিত লেগে থাকে ভয়াবহ যানজট।
এই মহাসড়কের ব্যস্ততম এলাকা নওয়াপাড়া বাজারের নুরবাগ মোড়ে গড়ে উঠেছে মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত ইজিভ্যানের স্ট্যান্ড। এছাড়া ফুড গোডাউনের সামনে দখল করে ষ্ট্যান্ড গড়ে উঠলেও তা কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ছেনা। সাথে সড়কের উপর অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দোকান। ফলে এই এলাকায় সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে মহাসড়ক, ফলে প্রতিদিন লেগে থাকে যানজট।
এই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ট্রাক চালক মতিয়ার বলেন, চেংগুটিয়া উপহার পাম্পের আশেপাশের বালির ড্যাম্পের বালি উড়ার জন্য রাস্তা বোঝা যায় না, সাথে সাথে এখানে সেখানে বালি পড়ে রাস্তা অনেক সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এই এলাকায় গাড়ি চালানোর সময় মাঝে মাঝে হেডলাইটও জ্বালাতে হয়।
অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, যানজট ও নিয়মিত সড়ক দূর্ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল হামিদ বলেন, আমি নতুন যোগাযোগ করেছি। যানযট নিরসন ও অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আমি অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি, আশা করছি খুব দ্রুত সড়ক ব্যবহারকারীরা এর সুফল পাবেন।