বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে আমদানি-রপ্তানীর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় সিমা শেষ হলেও প্রতিদিন বে-আইনী ভাবে কাষ্টমস্ কর্মকর্তারা অর্থনৈতিক সুযোগ নিয়ে রাতের আধারে ব্যাবসায়ীদের পন্য আমদানি-রপ্তানীর সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেনীর ব্যাবসায়ীরা রাজস্ব ফাকি দিয়ে আমদানি পন্য পাচার করছে। পন্য পাচার নিয়ে এত কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটলেও টনক নড়ছেনা কাষ্টমস্ কর্মকর্তাদের।
কাষ্টমস্ সুত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন- বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানীর র্নিদিষ্ট সময় সীমা রয়েছে। কিন্ত কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যাবসায়ীরা কাষ্টমস্ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রায়ই বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে রাতের আধারে পন্য আমদানি-রপ্তানী করছে ।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ নিরাপত্তাগেট বন্ধ হওয়ার পরে পুনরায় সন্ধ্যা ৭ টায় কাষ্টমস্ কতৃপক্ষ গেটের তালা খুলে পন্য বোঝায় ট্রাক ভারতে ঢুকিয়ে দেয়। সুত্রে জানা গেছে , বড় অংকের টাকা বানিজ্য করে ট্রাকগুলি ভারতে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে। রাতে নিরাপত্তাগেট খুলে ভারতে পন্য আমদানি-রপ্তানী হচ্ছে এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখতে পায় ট্রাকগুলি পেট্রাপোল বন্দরে ঢুকে গেছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে যে যার মত সটকে পড়ে। তখন দেখা যায় নিরাপত্তা গেটের তালা রয়েছে খোলা। সেখানে ডিউটিরত বিজিবি সদস্য আশরাফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, জানতে পেরেছি সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ীরা কাষ্টমস্ কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়েই রাতে পন্য রপ্তানী করেছে। গেটের সম্পূর্ন দায়িক্ত কাষ্টমস্ কর্তপক্ষের। বিষয়টি জানার জন্য চেকপোষ্ট কাষ্টম্ ও কার্গো শাখায় যাওয়া হলে দেখা যায় অফিস খোলা থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ নেই। একের পর এর পন্য পাচারের ঘটনা ঘটলেও টনক নড়ছেনা কাষ্টমস্ কর্মকর্তাদের।
এব্যাপারে বেনাপোল কাষ্টমস জয়েন্ট কমিশনার (২) আকবার হোসেন-এর কাছে শনিবার রাত ৮ টায় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে পচনশীল পন্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে ব্যাবসায়ীদের এ ধরনের ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে। তবে আমদানি-রপ্তানীর সময়সিমা শেষ হওয়ার পরে পন্য আমদানি-রপ্তানী করা অনিয়ম বটে। এতে ব্যাবসায়ীরা দুর্নীতির সুযোগ পায়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ইয়ানুর রহমান/শার্শা