ইয়ানূর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধি ::

ঈদুল আজহার ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়েছে। পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়ে আজ সহ গত তিন দিনে ২২ হাজার ৮৯১ জন পাসপোর্টধারী দুদেশে আসা-যাওয়া করেছেন। ঈদের ছুটিতে ভারতে যাত্রী যাতায়াত বৃদ্ধি পেলেও অব্যবস্থাপনার কারণে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।

ভ্রমণ, ব্যবসা ও চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট যাত্রীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করেন। ইমিগ্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঈদুল আজহায় সরকারি ছুটি বেশি থাকায় গত তিন দিনে রেকর্ড পরিমাণ যাত্রী বেনাপোল বন্দর দিয়ে পারাপার হয়েছেন। যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত তিন গুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে দুই দেশের ইমিগ্রেশনে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি বেশি বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ১২ জুন থেকে ১৫ পর্যন্ত তিন দিনে মোট ২২ হাজার ৮৯১ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৫২ জন বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন। আর ৭ হাজার ৮৩৯ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। সরকারি ছুটি শেষ হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত সময়ে আরও কয়েক হাজার যাত্রী ভারত ভ্রমণে যাতায়াত করবেন বলে জানা গেছে।

বেনাপোল-পেট্রাপোল নো-ম্যান্সল্যান্ডে সরেজমিনে গিয়ে পলাশ নামে এক যাত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবার পরিবার নিয়ে ভারতে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি। কিন্তু এখানে তিন ঘণ্টা তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। লাইন কমছে না। এখানকার অফিসাররা ধীরগতিতে কাজ করায় সময়টা বেশি লাগছে। এখনও কত সময় লাগবে বলতে পারছি না।’

গোলাম মোস্তফা নামে আরেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করতে মাত্র কয়েক মিনিট লাগলেও পেট্রাপোল নো-ম্যান্সল্যান্ডে রৌদ্রের মধ্যে দুই ঘণ্টার ওপরে দাঁড়িয়ে আছি। ইমিগ্রেশনে কখন ঢুকবো বলতে পারছি না।’

বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদুল আজহার ছুটিতে তিন দিনে ২২ হাজার ৮৯১ জন যাত্রী দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া করেছেন। স্বাভাবিক সময়ে এ সংখ্যা গড়ে প্রতিদিন ৪ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে থাকে। তবে এবার রেকর্ডসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যাদের অধিকাংশই ঈদ উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটির কারণে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য ভারতে গমন করছেন।’

এ ছাড়া পেট্রাপোলে ভোগান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পেট্রাপোলের ওসির সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ হচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে তাদের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, ইমিগ্রেশনে দেরি হচ্ছে না। দেরি হওয়ার মূল কারণ বিএসএফের তল্লাশি। এরপরও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাগিদ দেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here