বেনাপোল বন্দর কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বেড়াজালে আর পড়তে চাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। দুর্নীতিগ্রস্থ কাস্টমস্ কর্মকর্তাদের হাত থেকে বাঁচতে বন্দর ব্যবহারকারীরা চলে যাচ্ছে অন্য বন্দরে। ফলে বন্দরের রাজস্ব আয় কমতে শুরু করেছে।
বন্দর ব্যবহারকারীদের একাধিক সুত্রে জানা যায়, অধিকাংশ কাস্টমস্ কর্মকর্তাদের উৎকোচের মাত্রা এমন ভাবে সীমা লংঘন করছে যে, অন্য বন্দর ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। অন্যদিকে বন্দর শ্রমিক পরিচয়ে মালামাল চুরির ফলে ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। ফলে বন্দর ব্যবহারকারীদের এ বন্দরের প্রতি অনিহা এসেছে। বন্দর ব্যবহারকারীরা বন্দরের প্রতি অনিহা প্রকাশ করায় সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, শ্রমিক নামধারী কিছু সংখ্যক চোর বন্দরে লোড-আনলোডের ফাকে আমদানি করা মালামাল দেদার্ছে চুরি করে চলেছে। কিন্তু রুখবে কে ? এ সব চুরি যাওয়া মালামাল আবার প্রকাশ্যে দিবালোকে বেনাপোল বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টের দোকানে দোকানে বিক্রি হচ্ছে। এর গচ্ছা দিতে হচ্ছে ভোক্তা সাধারনের।
অপর একটি সুত্র জানায়, বিভিন্ন গ্রুপের কাস্টমস্ কর্মকর্তাদের উৎকোচের চাহিদা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা ব্যবসায়ীদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছে। কনসাইনমেন্ট প্রতি আগের চেয়ে বহুগুনে বেড়েছে উৎকোচের মাত্র। নাম না প্রকাশের শর্তে জৈনক সিএন্ডএফ এজেন্ট জানান, কাস্টমস্ গোয়েন্দা থেকে শুরু করে প্রতিটি টেবিলে ঘুষ না দিলে ফাইল নড়ে না। ফলে ব্যবসায়ীরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে গোয়েন্দা শাখা ও তিন নং গ্রুপ।
এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস্ কমিশনার মাগরুব হোসাইনের কাছে জানতে জাইলে তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি, এখনো সব কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ ইয়ানুর রহমান/শার্শা