বান্দরবানে টানা বৃষ্টিপাতে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। এছাড়া পাহাড়ে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়াও জেলা সদরের নিকটবর্তী সাঙ্গু নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের দিন কাটছে উৎকন্ঠার মাঝে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টির কারণে জেলার আলীকদমে মাতামুহুরি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, আলীকদম-লামা-চকরিয়া সড়কের রেপারপাড়া, শিলেরতুয়া ও লাইনঝিরির ৩টি স্থানে সড়কে পানি উঠার কারণে আলীকদম-চকরিয়া ও আলীকদম-বান্দরবানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া লামা ও থানচি উপজেলায় বৃষ্টিপাতের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টিপাত পরবর্তী পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও তারা ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসন চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল যা ছিল ১০৪ মিলিমিটার।

তিনি আরও জানান, বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা ও জেলা ও উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় বান্দরবান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোতে মোট ২১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, এরই মধ্যে লামা উপজেলায় ৫০ জন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। এ বিষয়ে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here