তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে মঙ্গলবার হামলার ঘটনায় ইরান থেকে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। এরই অংশ হিসেবে বুধবার দূতাবাসে কর্মরত একটি দল দুবাই এসে পৌঁছেছেন। সূত্র: বিবিসি অনলাইন।
বিবিসি বৃটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের বরাত দিয়ে জানায়, কিছু কর্মকর্তা ‘তাদের নিজেদের নিরাপত্তার’ কথা চিন্তা করে তেহরান ছেড়েছেন। তবে পুরো দূতাবাস গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করেনি বৃটেন।
উল্লেখ্য, তেহরানের ব্রিটিশ দূতাবাতে মঙ্গলবার ইরানের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়ে দূতাবাসের নথিপত্র তছনছ করে।
দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজধানী তেহরানে বিক্ষোভ নিয়ে বৃটিশ দূতাবাসে হামলা চালায়। এ সময় তারা ‘যুক্তরাজ্য নিপাত যাক, যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক এবং ইসরাইল নিপাত যাক’ স্লোগান দেয়।
পরমাণু ইস্যুতে ইসরাইলের সাথে যোগসাজশে বৃটেন ইরানের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে- এমন অভিযোগে যুক্তরাজ্য ও তেহরানের মধ্যে বেশকিছু দিন ধরে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলেছিল। সম্প্রতি বৃটেনের সাথে সম্পর্ক সঙ্কুচিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে ব্রিটিশ দূতাবাসের কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। এ সময় তারা পাথর ছুঁড়ে জানালা ভাঙচুর করে এবং দূতাবাসের নথিপত্র তছনছ করে।
বিক্ষোভকারীরা দূতাবাস থেকে যুক্তরাজ্যের পতাকা নামিয়ে তা পুড়িয়ে দেয়। সেখানে ইরানের পতাকা উত্তোলন করে তারা। পুরো ঘটনা ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করে।
তবে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভরত ছাত্রদের ঠেকাতে পুলিশ ব্যর্থ হয়। ছাত্ররা পুলিশের সাথেও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এদিকে, এ ঘটনার জন্য ইরান সরকারকে দায়ী করে এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানায় বৃটিশ কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করে বৃটিশ দূতাবাস।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জতিক ডেস্ক