আরিফ চৌধুরী শুভ।।
বুড়িগঙ্গাকে দূষণের হাত থেকে রক্ষায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম ব্যতিক্রমী শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। সংগঠনটি ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ টাওয়ার মাঠে বুড়িগঙ্গা নদী কার্নিভ্যাল শীর্ষক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করে। বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম ও বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চার যৌথ উদ্যোগে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়েছে।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। এতে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জাতীয় নদী রক্ষা কমিটির মনির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় নৌ শোভাযাত্রায় শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের থোটা গুদারাঘাট থেকে শুরু হয়ে নৌ শোভাযাত্রাটি বুড়িগঙ্গার বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে।
এ আয়োজনে অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আমরা অতীতে যে বুড়িগঙ্গা দেখেছি, সেই বুড়িগঙ্গা চাই, এটা পরিষ্কার কথা। নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার করে খননকাজ শুরু হয়েছে। চ্যানেলের পাশে ১০০ ফুট চওড়া হবে রাস্তা। এ জন্য অনেকের বাড়িঘর ভাঙা পড়বে। যাদের বাড়িঘর ভাঙা পড়বে, সহযোগিতার জন্য তাঁর কাছে না আসার অনুরোধ জানান এ নেতা।
কামরুল ইসলাম আরো বলেন, সীমানাখুঁটি বসানো হলে দখলদারেরা তা সরিয়ে দেন। তারা সরকারি দলের ওপর আসর করে, সরকারি দলের ওপর ভরসা করে। এদের কোনো দল নেই। যে সরকারই থাকুক, তার ঘাড়ে সওয়ার করে। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। রাজধানীর ভেতর থাকা খালগুলো জিয়াউর রহমান নষ্ট করা শুরু করেছেন এবং এরশাদ সাহেব শেষ করেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে ছোট ও বড় নৌকায় বুড়িগঙ্গায় শোভাযাত্রা বের করা হয়।