এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। এবার মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ২০ হাজার ৫৭ জন। পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৫ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ১৩ লাখ ১৫ হাজার ২ জন। প্রথমবারের মতো এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রদের থেকে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা হবে। প্রথম দিন রয়েছে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ৪ মার্চ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৫২ হাজার ৯৬৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩০ ও কারিগরি বোর্ডে ৯১ হাজার ১৫৮ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৩৫ হাজার ২২৯ ও ছাত্রী ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ জন। এবার মোট কেন্দ্র সংখ্যা ২ হাজার ৪৬৪ ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ৮৫৫টি।
এবার প্রতিবন্ধীদের সময় ৫ মিনিট বাড়িয়ে ২০ মিনিট করা হয়েছে। এছাড়া এ বছর শিক্ষা বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আগে এই যোগাযোগ হতো ফোনে। বোর্ডগুলোর ফোনে যোগাযোগ না করে অনলাইনে যোগাযোগ করবে।
এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১০ লাখ ৫২ হাজার ৯৬৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮১৮ জন ছাত্রী এবং ৫ লাখ ২০ হাজার ১১৫ জন ছাত্র। প্রথমবারের মতো এসএসসিতে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬৬৭ জন বেশি।
শিক্ষা মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, এবার বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ইংরেজি প্রথমপত্র, দ্বিতীয় পত্র ও গণিত ছাড়া সকল বিষয়ে (২১টি) সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হবে। ২০১০ সালে এসএসসিতে ২টি বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ১০টি।
এছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেদ্দা, রিয়াদ, আবুধাবী, দুবাই, দোহা-কাতার, বাহরাইন ও ত্রিপলী কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা হবে। বিদেশের কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭৪ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১২৫ ও ছাত্রী ১৪৯ জন।
দৃষ্টি, শ্রবণ প্রতিবন্ধি, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধি এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখককে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন ঢাকা বধির স্কুলে ৪৬ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী রয়েছে।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯১৮ জন, রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৬৩, কুমিল্লা বোর্ডে ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৫, যশোর বোর্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪১১, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৫ হাজার ৯৩৭, বরিশাল বোর্ডে ৬৩ হাজার ৭০৫, সিলেট বোর্ডে ৫৮ হাজার ৫০০ এবং দিনাজপুরে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৪০ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
বিভাগ ভিত্তিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে, আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিজ্ঞানে ২ লাখ ৩১ হাজার ৭৬৯, মানবিকে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৫ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৫ জন অংশ নিচ্ছে।
এবারের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এসএসসি পরীক্ষার শুরুর সময়টা আমরা স্থিতিশীল করতে পেরেছি। প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলাফল ৬০ দিনের মধ্যে দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই ফল প্রকাশকরেছি। ৫ দিন আগেও ফল প্রকাশের নজির রয়েছে। এবারো ৬০ দিনের মধ্যেই এসএসসির ফল প্রকাশ করা হবে।
নকলমুক্ত পরীক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করাই ছিলো আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা তা করতে পেরেছি। এবারো সেই পরিবেশ বজায় থাকবে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্যান্যদের কেন্দ্রে প্রবেশ নিষেধ থাকবে। আশা করবো রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কোন প্রয়োজন ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবেন না।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার