গাজীপুর প্রতিনিধি :: গাজীপুরের শ্রীপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন প্রেমিকা রিপা আক্তার (১৮)। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিকা সাবি্বর রহমানের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
রিপা কেওয়া তমির উদ্দিন আলিম মাদ্রাসার (মাওনা চৌরাস্তা) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামের আলী আকবরের মেয়ে। শনিবারের মধ্যে সাবি্বর তাকে বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবে বলে সাংবাদিকদের জানান।
সাবি্বর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজম্যান্ট (পিওএম) পুলিশ কন্সস্টেবল (মিরপুর-১৪) পদে কর্মরত।
রিপা আক্তার জানান, ২০১০ সালে সাবি্বর রহমানের সঙ্গে রিপার এক আত্মীয়ের বাসায় পরিচয় হয়।
তারপর থেকে সাবি্বর তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে এবং এলাকায় এসে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎ করে। সাবি্বর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের অভিনয় করে এসেছে। সম্প্রতি রিপা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করে বিয়ে করবে বলে তাকে আশ্বস্ত করে।
৭ নভেম্বরের পর থেকে সাবি্বর তার সফঙ্গ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বিয়ের জন্য ওই এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সাবি্বরের বাবাকে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার বসবেন বলে তাদের জানান। সাবি্বর অন্যত্র বিয়ে করার খবর শুনে প্রেমিকা রিপা আক্তার শুক্রবার সকাল থেকে প্রেমিক সাবি্বরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবি্বরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নাম্বার ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রাশিদ জানান, রিপা ও তার পরিবারের লোকজন সাবি্বরের সাথে ওই মেয়ের ৬ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে তাকে জানায়। পরে বিষয়টি নিয়ে সাবি্বরের বাবার সাথে কথা বললে তিনি ওই মেয়ের সাথে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান এবং বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ওই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আফাজ উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে তিনদিন আগে স্থানীয় মুরুবি্বদের নিয়ে সাবি্বরের বাবার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শুক্রবার সকালে স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসার আশ্বাস দেন। পরে গতকাল সকালে সাবি্বরের বাড়িতে গিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।