আনসার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ::

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন- বিসিক কক্সবাজার লবণ প্রকল্পের কম্পিউটার অপারেটর ইদ্রিস আলীকে অর্থ আত্মসাত মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দন্ডিত মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ শান্ত ইসলাম মল্লিক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ইদ্রিস আলী রোববার আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ইতোপূর্বে চলতি বছরের ২৫ মে একই আদালত ইদ্রিস আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে একবছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।রাজধানী ঢাকার জিল্লুর রহিম চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় ইদ্রিস আলীকে এই সাজা দেয়া হয়েছে।

ইদ্রিস আলীর বাবার নাম মৃত সামসুল হক খান। তিনি নিজেকে কক্সবাজার শহরের মোটেল প্রবালের দক্ষিণ গেইটস্থ ‘ট্যুর প্লাস’ নামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বাদীর কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেছিলেন।

মামলার তথ্য মতে, পূর্বপরিচয়ের সুত্র ধরে বিসিক কক্সবাজার লবণ প্রকল্পের কম্পিউটার অপারেটর ইদ্রিস আলীকে ট্যুর অপারেটিং ও ট্রাভেল ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য ৪ লাখ টাকা দিয়েছিলেন জিল্লুর রহিম চৌধুরী। কিন্তু বাদী পরে জানতে পারেন ইদ্রিস আলীর ট্যুর অপারেটিংয়ের কোন ব্যবসা নাই। এমনটি তার কোন ব্যবসায়িক অফিসও নাই। এমতাবস্থায় টাকা ফেরত চাইলে ইদ্রিস আলী টাকা বিষয়টিই অস্বীকার করেন। পরে জিল্লুর রহিম চৌধুরী বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে চলতি বছরের ২৫ মে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শান্ত ইসলাম মল্লিক মামলার রায়ে ইদ্রিস আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে একবছর সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাস কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের পর দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত রোববার (৩০ আগষ্ট) একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ইদ্রিস আলী। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ইদ্রিস আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here