নিজস্ব প্রতিবেদক ::

কন্যাশিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে । কন্যাশিশুর অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে পুরুষদেরও,কন্যাশিশুরা  সঠিক সুরক্ষা পেলে সকল বৈষম্য দূর হবে, বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে আইনের বাস্তবায়ন প্রয়োজন। পড়ালেখার পাশা-পাশি ডিজিটাল লাইব্রেরী Let’s Read এর মতো এ্যাপস ব্যবহারে সৃজনশীল ও মননশীল বই পড়ার প্রতি শিশুদের আগ্রহ সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালিত হয়।

বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ সপ্তাহ ব্যাপী চট্টগ্রামের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসটি জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী চট্টগ্রাম এর আয়োজনে উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুলের সহযোগিতায় ৫ অক্টোবর ২০২৩ ইং চট্টগ্রাম সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ‘বিনিয়োগে অগ্রাধিকার,কন্যা শিশুর অধিকার’এর প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর  ‘আমার কথা শোনো-ছোটরা বলবে, বড়রা শুনবেন শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে কন্যা শিশুদের বর্ণাঢ্য র‌্যালীতে অংশগ্রহণ করেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা অনুষ্ঠান, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নাসিরাবাদ চট্টগ্রামের প্রধান শিক্ষক, ও. এফ. এম. ইউনুছ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), চট্টগ্রাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে-মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম এর উপ-পরিচালক, মাধবী বডুয়া, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী চট্টগ্রামের জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, মোঃ মোছলেহ উদ্দিন,  ইলমার প্রধান নির্বাহী, জেসমিন সুলতানা পারু এবং ঘাসফুলের সহকারী পরিচালক সাদিয়া রহমান।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অপরাজেয় বাংলাদেশ চট্টগ্রামের ইনচার্জ, জিনাত আরা বেগম ও ঘাসফুলের প্রকল্প সমন্বয়কারী সিরাজুল ইসলাম।

প্রোগ্রাম উপস্থাপনা করেন স্কুল শিক্ষার্থী নুজাইমা কাদের ও সেজুঁতি ঘোষ, শিক্ষার্থীদের পক্ষে কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন তাহিয়া জারিন ও তাসনিয়া আহমেদ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাঁদের অধিকার ও সুরক্ষা বিষয়ক অনেক প্রশ্ন করেন অতিথিদের কাছে। অনুষ্ঠানে অতিথিরা শিশুদের সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন এবং তাঁদের অধিকার ও সুরক্ষা বিষয়ক দাবি সমুহ উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্টদায়িত্বশীলদের কাছে শিশুদের পক্ষ থেকে পৌঁছাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

প্রধান অতিথি বলেন- জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এ দিবসটি পালনে অনেক ভূমিকা রাখে, বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি,সারা বিশ্বেই নানা কারণে কন্যাশিশুরা বেশ অবহেলিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মর্যাদার দিক থেকেই বলতে গেলে তারা বঞ্চিত। শুধু যে আমাদের দেশের চিত্র এমন তা কিন্তু নয়। সারা বিশ্বেই কোনো না কোনো জায়গায় প্রতি মুহূর্তে অবহেলার শিকার হচ্ছে কন্যাশিশু। পারিবারিক ও সামাজিকভাবেও তারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে।  শিশুদের সুরক্ষার জন্য আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। সকল কাজে নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করা সম্ভব।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here