ফরহাদ খাদেম, ইবি সংবাদদাতা ::
বিশ্বসেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক শিক্ষার্থী ড. খালিদ হোসাইন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ) ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার এ সফলতায় উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
বুধবার (৪ অক্টোবর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার যৌথভাবে গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় স্কোপাস ইনডেক্সড আর্টিকেলকে ভিত্তি হিসেবে ধরে ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র এবং ১৭৬টি উপ-ক্ষেত্রে শ্রেণীবদ্ধ করে দুটি ক্যাটাগরিতে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়েছে।
ড. খালিদ বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা শেষে ২০১২ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও গবেষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ২০১৮ সালে জাপানের কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের এডভান্সড এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এএসএম ইন্টারন্যাশনাল (পূর্বে আমেরিকান সোসাইটি ফর মেটালস নামে পরিচিত) থেকে ‘মোস্ট  পপুলার প্রেজেন্টেশন এওয়ার্ড -২০২১’ পদকও অর্জন করেছেন তিনি।
এ পর্যন্ত তার ৬ টি বিজ্ঞান ভিত্তিক বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ১৭০ টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রিয়া, জাপান, কোরিয়া, হংকং, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বৈজ্ঞানিক সভা, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার গবেষকদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। নিউক্লিয়ার এনার্জি মেটেরিয়ালস, সোলার সেল, ফুয়েল সেল, ন্যানোমেটেরিয়ালস ও সিরামিকসসহ নানা ক্ষেত্রেও রয়েছে তার বিশেষ দক্ষতা।
সেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পাওয়া ড. খালিদ হোসাইন বলেন, আমার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের বিজ্ঞান গবেষণায় অবদান রাখা দেশের প্রতি আমার কর্তব্য। সে কারণেই ডিগ্রী শেষ করে কানাডাতে চাকুরী বা অবস্থান না করে দেশে ফিরে আসি । আমি বিশ্বাস করি যে আমি আজ আমার দেশকে কিছুটা হলেও প্রতিদান দিতে পেরেছি এবং আমি মনে করি এটি আমার জন্য একটি বড় অর্জন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here