মো: আলমগীর মিয়া, নবীগঞ্জ  (হবিগঞ্জ)

নবীগঞ্জে পাহাড়ী টিলা কাটার মহোৎসব চলছে। কেউই বিধি-বিধানের তোয়াক্ষা করছেনা। রহস্যজনক নিরবতা পালন করছে প্রশাসন। যেন দেখার কেউ নেই। প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করছে প্রভাবশালী মহল। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বিলিন হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।

বাগান বাড়ি আর খেলার মাঠ তৈরীর নামে প্রতারণার বিস-র অভিযোগ উঠে এসেছে এলাকাবাসীরর ব্‌ক্তব্য । শতাধিক সরকারী ও মালিকানাধীন টিলা কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে টিলা ধ্বসে মৃত্যুর ঝুকি বৃদ্ধি পেয়েছে। সমান তালে চলছে টিলার মাটি বিক্রির প্রতিযোগিতা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে জনপদের লোকজন। বিলীন হচ্ছে জীব-বৈচিত্র। ভূমির মানচিত্রে পরিবর্তন হচ্ছে। পাহাড় ও টিলার সুরক্ষায় ব্যবস’া গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন।

স’ানীয় সূত্র জানায়,২০০১ সালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হলে উপজেলার দিনারপুর অঞ্চলের পাহাড় কাটার ধুম পড়ে। টিলা কেটে উজাড় করে মাটি নেয়া হয়। স’ানীয় প্রভাবশালী,সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন এমপি,অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এসবের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। রাস-া-ঘাট নির্মাণের দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাহাড় ও টিলার মাটি এবং বালু ব্যবহার করছে।

রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় নির্বিচারে পাহাড় ও টিলা কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে। এসব পাহাড়ী টিলার মাটি কেটে তৈরী করা হচ্ছে শখের বাগান বাড়ি। ট্রাক প্রতি ১০০-১৫০টাকা ধরে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। সমপ্রতি টিলার মাটি ধসে পড়ে একই পরিবারের ৬জন নিহত সহ ওই এলাকায় পাহাড়ি মাটি নিছে চাপা পড়ে নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২০ জনে।সার্বিক বিষয়ে স’ানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ বলেন,পাহাড় ও টিলা কেটে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দিনারপুর পরগণার পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে। সরকারী কোন বিধি-বিধান মানা হচ্ছেনা।

সরকারী-বেসরকারী মালিকানাধীন পাহাড়ি টিলা বিক্রির উৎসব চলছে। জরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস-ক্ষেপ প্রয়োজনবলে তিনি দাবি জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here