ভাইয়ের শোগান দিলে হবেনা। ভাইয়ের রাজনীতি করলে হবে না। তাহলে আমরা ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়ন করতে পারব না। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দীর্ঘদিন পরে হলেও তরুন প্রজন্মের সহযোগিতায় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে তরুন প্রজন্মকে অগ্রনি ভুমিকা রাখতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি আরেকটি স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবে ধরে নিয়েই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মেহেরপুর জেলা রেজিষ্ট্রারের কার্যালয় উদ্বোধন কালে আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম প্রধান অতিথির ভাষনে এ কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপে নির্বাচন কমিশন বিষয়ে কোন কথা না বলে ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার মত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী করেছে বিরোধী দল। আসলে তারা কোন কথাই মানতে রাজি নন, কোন কথা মানতে রাজি নন, কোন সমাধানে যেতে রাজি নন। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাই, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার ঠেকাতে চাই। গণজোয়ার সৃষ্টি করে একাত্তরের মতই সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
রোববার বেলা ১১টার সময় নতুন ভবনের ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে রেজিষ্ট্রারের কার্যালয় উদ্বোধন করেন। এর আগে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইন প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জেলা প্ররিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিয়াজান আলী তার বক্তব্যে বলেন, মেহেরপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। জমি রেজিস্ট্রি করতে সরকার নির্ধারিত ৮% ফিস এর পরিবর্তে ১৬ থেকে ১৭% ফিস নিচ্ছে দলিল লেখক সমিতি। একটি চক্র এ অর্থ ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। আর তাদের পিছনে শক্তি জোগাচ্ছে দলেরই একটি অংশ। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের এমপি’র মদদেই গাংনী সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চলে গেছে ভেন্ডার আশরাফুলের বাড়িতে। তারাও একই হারে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফিস আদায় করছে। এ বক্তব্য শুনে তার অনুসারীরা হাত তালি দিতে থাকে।
এরপর মেহেরপুর-১ আসনের এমপি জয়নাল আবেদীন তার বক্তব্যে বলেন, কারা দুর্নীতির সাথে জড়িত এবং কত ভাগ বেশি ফিস নেওয়া হচ্ছে তা সুর্নিদিষ্ট করে বলেন। ঢালাওভাবে বললে জনগন বিভ্রান্ত হবে। তাছাড়া দলিল লেখকরা কিভাবে কাজ করবে তা তাদের নিজেদের ব্যাপার। মিয়াজান আলীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, এ্যাডভোকেটরা তো কোন আইন মানেন না। মক্কেলদের কাছ থেকে ইচ্ছামত ফিস আদায় করে। এ বক্তব্য শুনে এমপি’র অনুসারীরা হাত তালি সহ শোগান দিতে থাকে।
এ ধরণের বক্তব্য শুনে ক্ষুব্ধ হন আইন প্রতিমন্ত্রী। প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ভাইয়ের শোগান দিলে হবেনা। ভাইয়ের রাজনীতি করলে হবে না। তাহলে আমরা ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।
আইন ও বিচার মন্ত্রনালয়ের সচিব আশিষ রঞ্জন দাস-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শাহান আরা বানু, জেলা রেজিষ্ট্রার শামীমা সুলতানা, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/রামিজ আহসান/মেহেরপুর