গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি ::
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ১৬টি গ্রামের মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও নামাজ আদায় করেন।
আজ শনিবার (০৯ জুলাই)সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর গ্রামের মসজিদে এবং একই সময় আয়ড়া মাদরাসা মাঠে ঈদের জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতে ১৬ গ্রামের প্রায় ২শ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।
খয়ের বাড়ি জামে মসজিদে মো. দেলোয়ার হোসেন কাজী এবং আবু হোরায়রা আয়ড়া মাদরাসা মাঠের জামাতের ইমামতি করেন।
সরেজমিনে শনিবার সকালে উপজেলার আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সময় হওয়ার আগেই দূর-দূরান্তের গ্রামগুলো থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেলে একত্রিত হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে সাতটার ওই এলাকার মাদ্রসা মাঠে আবু হোরায়রা   ইমামতিতে নামাজ শুরু হয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে খয়ের বাড়ি মসজিদের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।
ঈমাম দেলোয়র হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমনকুমার মহন্ত বলেন, বিরামপুর উপজেলায় জোতবানি এবং বিনাইল দুটি ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here