প্রধানমন্ত্রী স্টাফ রিপোর্টার :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক এখন সুদৃঢ়। ভারত সফর নিয়ে হতাশ হবার কিছু নেই। আর বিবাদের মাধ্যমে কোনোকিছু অর্জন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিভিন্ন অমীমাংসিত ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।  নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে এসে স্বাগত জানানোয় বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় চারদিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে গণভবনে সাংবাদিক সম্মলনে একথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সামরিক খাতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার নমনীয় ঋণ দেবে ভারত। আমরা যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র হিন্দি সংস্করণের মোড়কও উন্মোচন করেছি এ সফরে। প্রধানমন্ত্রী মোদি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আমাদের দুই সরকারের আমলেই সম্ভব হবে বলে জোরালো আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সফরে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে মোট ৩৫টি দলিল স্বাক্ষরিত হয়ে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১১টি চুক্তি ও ২৩টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত ৯ বিলিয়ন ডলারের ১৩টি চুক্তি এবং এমওইউ এগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভারতের গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ দিল্লির ‘পার্ক স্ট্রিট’-এর নতুন নামকরণ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রোড’ উদ্বোধন নিয়েও কথা বলেন হাসিনা।

পরিবহন সেক্টর নিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যৌথভাবে খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী রেল ও বাস চলাচল এবং বিরল (দিনাজপুর)- রাধিকাপুর (ভারত) রুটে পণ্যবাহী রেল চলাচলের উদ্বোধন করেছি। একইদিন বিকেলে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী/ সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্য জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের

আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ দিতে নয়া দিল্লির ‘মানেকশ সেন্টারে’ বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে এক স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি বাংলাদেশ যে সার্বভৌম দেশ, তা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করি এবং একইসাথে বাংলাদেশ যে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত, তা উল্লেখ করি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here