ডেস্ক রিপোর্ট:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। আর ভর্তুকির সুযোগটা নিচ্ছে অর্থশালী বড়লোকরা। একটা স্লট ঠিক করে সাধারণ মানুষ কতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তাদের জন্য এক দাম নির্ধারণ করা হবে। আর এর থেকে বেশি যারা ব্যবহার করবে তাদের জন্য আলাদা দাম নির্ধারণ করা হবে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি, কয়টা স্লট করে করে দাম নির্ধারণ করা হবে। যে বেশি ব্যবহার করবে তাকে বেশি দামে কিনতে হবে। এটা নিয়ে কাজ চলছে। আমরা এভাবে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে দেব।
তিনি বলেন, আজকে দেশ একটা মর্যাদা পাচ্ছে। আগে বাংলাদেশ শুনলে নাক সিটকাতো, এখন নাক সিটকায় না, একটা আলাদা মর্যাদা দেয়। আওয়ামী লীগ সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে দেশের উন্নতি করছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং এর ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
ওয়াশিংটন ডিসিতে ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর লন্ডনে গিয়ে বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত এপিপিজি’র সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) এক প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
দুই দেশে মোট ১৬ দিনের সফর শেষে বুধবার দেশে ফিরেছেন শেখ হাসিনা।