শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আর বিজয় উচ্ছ্বাসে পালিত হচ্ছে বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তি। নানা আনুষ্ঠানিকতায় জাতি স্মরণ করছে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধের বেদিমূলে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। প্রধানমন্ত্রী কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনীতিক, তিন বাহিনীর প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এবার স্মৃতিসৌধে যাননি।

পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সভানেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। স্মৃতিসৌধের পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর পর পরই জাতীয় সংসদের পক্ষে চিফ হুইপ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

এরপর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বিপুল সংখ্যাক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পরে জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণী-পেশার মানুষের ঢল নামে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। তারা শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়া বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বিভাগীয় শহর, জেলা-উপজেলা ও থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টায় রিপোর্টার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here