দক্ষিঞ্চলে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ২৬ নভেম্বরের রোডমার্চকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে এতটাই উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে যে আনন্দ উচ্ছাসে তাদের আত্মীয় স্বজনদের বিয়ে পর্যন্ত তারা স্থগিত করেছেন। সেই সঙ্গে জেলার বিভন্ন স্থানে আয়োজিত ২৬ ও ২৭ নভেম্বরের ধর্মসভাও বাতিল করা হয়েছে।
হরিনাকুন্ডু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা এড এম এ মজিদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, গত ৩ বছর সরকারের দমন পীড়নে অতিষ্ঠ মানুষগুলো রোডমার্চকে ঘিরে যেনো জেগে উঠেছে। তারা এতটাই পাগল যে আনন্দে তাদের কেও কেও নিজের বোন, ছেলে, মেয়ে, ভাতিজা কিংবা ভাইয়ের পূর্ব নির্ধারিত বিয়ে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।
হরিনাকুন্ডু চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মজিদ আরো জানান, ২৬ নভেম্বর সাবেক বিন্নি গ্রামের নিয়ামত হোসেনের মেয়ের বিয়ে দিনন ধার্য্য ছিল। কিন্তু বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঝিনাইদহের পথসভার কারণে সেই বিয়ে স্থগিত করে নতুন দিন করা হয়েছে।
তিনি জানান একই কারণে হরিনাকুন্ডুর জোড়াদহ গ্রামের সঞ্জের আলীর ছেলে, তেলটুপি গ্রামের মালু মেম্বারের ভাইজি, ফলসি ইউনিয়নের তাইজালের বোন এবং তাহেরহুদা গ্রামের মজনু মিয়ার ভাতিজার বিয়ে স্থগিত করা হয়েছে।
বিয়ের দিনন স্থগিত সম্পর্কে এম এ মজিদ জানান, খালেদা জিয়ার রোডমার্চে হরিনাকুন্ডু থেকে প্রায় ৫০ হাজার লোকের সমাবেশ ঘটনো হবে। সে কারণে বিয়ের সঙ্গে সংশিষ্ট পরিবার গুলো বেশির ভাগ বিএনপি সমর্থক। তাছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের কারো বোন, ছেলে, মেয়ে, ভাতিজা কিংবা ভাইয়ের বিয়ের দিনন ২৬ ও ২৭ নভেম্বর নির্ধারিত ছিল। তিনি জানান হরিনাকুন্ডুর গাড়াবেড়ে মাদ্রাসা মাঠ ও ভাদড়া গ্রামের ধর্মসভায় রোডমার্চের প্রভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
হরিনাকুন্ডুর দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের অপু মিয়ার মেয়ের বিয়ে ছিল। কিন্তু বিএনপি নেত্রীর রোডমার্চের প্রভাবে সেটি স্থগিত হয়ে গেছে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ মসিউর রহমান জানান, তার জানা মতে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ২০টি বিয়ে রোডমার্চের প্রভাবে স্থগিত করে নতুন দিনন ধার্য্য করা হয়েছে। তিনি জানান ঝিনাইদহের পথসভাটি দলীয় নেত্রীর কাছে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহারিয়ার রহমান রকি/ঝিনাইদহ