স্টাফ রিপোর্টার :: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, বাল্য বিবাহ নির্মূলে সরকারের যে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার তার বাস্তবায়ন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ঘোষিত সময়ের আগেই এই লক্ষ্য অর্জিত হবে। সরকার এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনায় বাল্য বিবাহের কারণ সমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এই কারন সমূহ নির্মূলে কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় সরকারের সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করবে। জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত, কিশোরীদের জন্য বিশেষ স্টাইপেন, কিশোর-কিশোরীদের সচেতন কর, দারিদ্রতা দূর করা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ নানা মুখী পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে বাল্য বিবাহ নিরোধকল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ঘোষনার সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি এর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার এলিসন ব্ল্যাক (গঝ অষরংড়হ ইষধশব), ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডাইরেক্টর ওরলা মার্ফি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, ড. আবুল হোসেন । শুবেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দীপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে, হাসান।
সভাপতির বক্তব্যে সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন দারিদ্রতা, অশিক্ষা ও নীরাপত্তাহীনতা বাল্য বিবাহের অন্যতম কারণ। সরকার বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে।