এনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি:: বান্দরবান শহরের রোয়াংছড়ি বাসষ্টেশন সংলগ্ন সেগুনবাগান এলাকার পুকুরপাড়ের উত্তরে আস্তপাহাড়র কেটে নিধন করা হচ্ছে প্রকাশ্যেই। পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কোন কর্তৃপক্ষেরই মাথা ব্যথা নেই পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে। ফলে আগামী বর্ষাতেই পাহাড়ের মাটি বা অংশ ধসে পড়ে ২টি পাকা ভবন, ৩টি কলোনীসহ কমপক্ষে ২০টি পরিবারের সমুহ ক্ষয়ক্ষতির ভয়ানক আশংকা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এ প্রতিনিধিসহ ৪জন সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে এসব দৃশ্য দেখতে পান। প্রায় মাস ধরেই প্রকাশ্যে পাহাড় কর্তন চলছে।
গুরুতর অভিযোগ রয়েছে- ওই এলাকার অবাধে ফ্রিষ্টাইলে আস্তপাহাড়ের অংশ কর্তন ও মাটি পাচার কাজে জড়িয়ে পড়েছেন চন্দন বড়ুয়া, রিক্সা কোম্পানী নুরুল আলম, মনজুর আলম,ললিত মেহান দাশ এবং দলিলুর রহমমান।
তারা ওই পাহাড়ের একাংশ কিনে নিয়েছেন দাবি করে জানায়, বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনে পাহাড়ের অংশ কর্তন করা হয়েছে। তবে সরকারি কোন কর্তৃপক্ষেরই অনুমতিগ্রহণ করা হয়নি। তারা বলেন, পাহাড়কর্তন দিব্যি চালিয়ে যাবার জন্যে পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন সংস’ার লোককে ‘ম্যানেজ’ করা হয়েছে।
তারা স্বীকার করেন, আগামী বর্ষায় পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে পাশের এবং নিচু এলাকাসমুহের ঘরবাড়িতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
অবৈধভাবে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে জমি তৈরির কাজ অব্যাহত থাকায় পাহাড়ের পাশে ও নিচু এলাকার ৩টি কলোনীর কমপক্ষে ২০টি পরিবার সমুহ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এলাকার ক্ষতিরসুম্মখিন হওয়ার আশংকায় রয়েছেন এমন ব্যক্তি মনির আহমদ চৌধুরী, আবুল ফজল, জাহাংগীর আলম,নজরুল ইসলাম ভট্টো, মোহাম্মদ সেলিম এবং আক্ততার কামাল সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তাদরে কালোনীতে সাধারণ পরিবারগুলোর সাথে সেনা সদস্যদের ১২টি পরিবারও বসবাস করছে কালোনীসমুহে।
বেপরোয়া ও অবৈধভাবে পাহাড় কাটার কারণে আগামী বর্ষার শুরতেই এলাকায় এক ভয়ানক পরিসি’তি দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন পর্যায়ে বহুবার অভিযোগ জানানো সত্বেও পাহাড়কাটা বন্ধে কোন উদ্যোগ কোন মহলই এখনও গ্রহণ করেনি বলেও ক্ষতির আশংকাগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পুলিশ এবং প্রশাসন কর্মকর্তারা বলছেন, লিখিত অভিযোগ পেলেই পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।