নারী ও এসএমই উদ্যোক্তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে
সাদিয়া নাসরিন
প্রধান নির্বাহী, সংযোগ বাংলাদেশ।
করোনাকালীন বাজেটে অবশ্যই প্রাধান্য পাওয়া উচিত স্বাস্থ্যখাত। সরকারি হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ইনসেনটিভ দেওয়া, জনমুখী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। কৃষি খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও প্রণোদনা ফান্ড রাখতে হবে। কৃষি খাতের মূল অংশ হচ্ছে শস্য খাত । এছাড়া আছে হাঁস মুরগী পালন পশু পালন, মৎস ও বনায়ন । করেনারালীন এই সময়ে মৎস্য হাঁস-মুরগী পালন পশুপালন, এই সব খাতের সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখাটা জরুরী । অর্থাৎ ফসল কাটা, চালকল পর্যন্ত তা, নিয়ে যাওয়া এবং হাট বাজারে নিয়ে কি করে বিক্রির ব্যবস্থা ব্যবস্থা করা যায়, সেই ব্যাপারটা বাজেটে থাকতে হবে। বিভিন্ন ধরনের কৃষি পণ্যের জন্য অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা নেয়া দরকার এবং পরিবহন সুবিধা দেয়া দরকার। গত তিন মাসের লকডাউন এবং ভবিষ্যত অর্থনৈতিক মন্দাকে মাথায় রেখে সরকারের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি হওয়া মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা। মন্দা ও খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সামাজিক সুরক্ষা খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন হতে পারে। তাই এ বছর সরকারের উচিত হবে অন্য বছরের তুলনায় বেশি ধান চাল সংগ্রহ করা। সেই চাল মজুদ করার পরিকল্পনাও নিতে হবে। ধান কাটার মৌসুমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকের জন্য শস্য কাটার শ্রমিকের খরচের জন্য যে অর্থ দরকার হয় তার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা দরকার। এছাড়া, করোনা মহামারীতে এ বছর ঈদ এবং পহেলা বৈশাখ কেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে ছোট ছোট নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থায় আসছে বাজেটে সরকারকে নারী ও এসএমই উদ্যোক্তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বাধা দূর করতে বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ জরুরি। করেনা কালীন মন্দা অর্থনীতিতে টিকে থাকার এই চ্যালেঞ্জিং বাজেটে নারী উদ্যোক্তারা যে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়েছে তা এগিয়ে নিতে সুনিদির্ষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে।
স্বাস্থ্যখাতের দিকে বিশেষ নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরি
মিতি সানজানা
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, পার্টনার, লিগ্যাল কাউন্সেল।
ক্রমেই করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে নতুন রোগীর সংখ্যা। এরই মধ্যে আক্রান্তের হিসাবে অন্যান্য জেলা কে ছাড়িয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা। শুধুমাত্র একদিন এ আক্রান্ত ৩ হাজারের বেশি মানুষ। এটাকে সর্বনাশের শুরু বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি আমরা। আমাদের দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের মতো দরিদ্র দেশের জন্য দিনের পর দিন লকডাউন অর্থনীতিতে চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে । করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পুরো দেশ লকডাউন করে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন মেয়াদে এই লকডাউন বর্ধিত করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষেরা নিদারুন কষ্ট আর নিরাপত্তাহিনতায় দিন কাটাচ্ছেন। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যই ক্ষতির মুখে পড়ছে এবং প্রায় অর্ধকোটি পোশাক শ্রমিকের পথে বসার উপক্রম হয়েছে৷ গত কয়েক বছরে জিডিপির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক মহলে অনেক প্রসংশিত হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, এমআরটি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গুলোর কাজ এগিয়ে চলচিল। এর মধ্যে এই মহামারী অর্থনীতিকে স্থবির করে দিয়েছে। কোন সন্দেহ নেই এই পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবীতে যখন অর্থনৈতিক ধ্বস নামছে বাংলাদেশে সরকারের জন্য এই অবস্থায় বাজেট একটি অগ্নিপরিক্ষা। ২০২০-২১ সালের অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট হতে হবে কৃষি বান্ধব, বিনিয়োগ বান্ধব, ব্যবসাবান্ধব, কর্মসংস্থানমুখি এবং দরিদ্রদের জীবনমান উন্নয়ন মুখি। দিন যত গড়াচ্ছে, সারা দেশের সব জেলায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতিদিন হাজার হাজার করোনা রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালগুলিতে বিপুল সংখ্যক করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা।। স্বাস্থ্য সরঞ্জামের সংকট দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতের দিকে বিশেষ নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরি। এই বাজেট বাস্তবায়নে জনগন ও সরকার সবার সমান দায়িত্ব। পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে রাজস্ব আয় লক্ষ্য মাত্রা অর্জনমুখি ও ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট হবে এই আমাদের প্রত্যাশা।
অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমককে ত্বরান্বিত করতে ইন্টারনেট খাতে ভর্তুকি দেয়া যেতে পারে
স্নিগ্ধা বাউল
সহকারী পরিচালক, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট।
এবারের বাজেট একসাথে আগামী দশবছরকে সামনে রেখে তৈরি করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যখাতসহ কৃষিমুখী ও রপ্তানি খাতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণসহ রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। ডিজিটাল শিক্ষা ব্যাবস্থাকে প্রাধান্য দিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিকট কম্পিউটার পৌছে দেয়ার জন্য কম্পিউটারের মূল্য কমানো যেতে পারে। অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমককে ত্বরান্বিত করতে ইন্টারনেট খাতে ভর্তুকি দেয়া যেতে পারে। বাজেটে সকল ক্ষেত্রে গবেষণা খাতের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো যেতে পারে, কারণ ভাইরাস ক্রাইসিসে আমরা গবেষণা খাতের দুর্বলতা সরাসরি দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে নারী উদ্যোক্তা ও কৃষি খাতকে সমন্বিত করে ই কমার্সকে চালু রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। ঘরে বসে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনায় এর বিকল্প নেই।
বাজেট ব্যাবহারে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে
সুবর্ণা জেসমিন
হেড অফ ফিন্যান্স, অ্যাকশান ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট-এএসডি।
সমস্ত পৃথিবী এখন একটি অনাকাংখিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন কবে হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী আমাদের আরো দীর্ঘদিন এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে। তাই বাংলাদেশের ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে সাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হাস্পাতাল যেমন প্রয়োজন তেমনই কমিউনিটি লেভেলে করোনা, ডেংগুর মতো ছোয়াচে রোগের সহজলভ্য সাস্থ্যসেবার সুযোগ তৈরি করা জরুরি। তাছাড়া সাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার জন্য বাজেট বাড়ানো জরুরী ।
শিক্ষা ব্যাবস্থা এখন প্রযুক্তি নির্ভর । প্রাথমিক থেকে প্রতিটি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে এবং বিনা খরচে অনলাইন সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।শিক্ষার কাজে ব্যাবহার করা যায় এমন প্রযুক্তি উপকরণ সরবরাহ এবং তা ব্যাবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বাজেট বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। কৃষি খাতে উন্নতির জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বরাদ্দ কৃত বাজেট ব্যাবহারে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
কৃষি খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থা রাখতে হবে
নূর কামরুন নাহার
কথাসাহিত্যিক ও কবি।
এবারের বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যখাত, কর্সংস্থান ও দারিদ্র্য কমানো। এই বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। করোনাকালের যে বাস্তবতা তাতে স্বাস্থ্যখাতে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণ যাতে চিকিৎসা পেতে পারে এটা যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি পুষ্টিকর খাবারও যেন পায় সেটা দেখতে হবে। তা পুষ্টিকর খাবারের দিকে জোর দিলে আমাদের কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে। সেজন্য কৃষি খাতে ভর্তুকি, স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
কর্মসংস্থানের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। কারণ করোনার বাস্তবতায় বহুলোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এদের জন্য কর্ম এছাড়া জনগণ যাতে বাঁচতে পারে তাই তাদেরকে স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে কোনো ব্যবসা করা যায় কি না সেটা দেখতে হবে। নারী এবং শিশুরা মহামারীতে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নারী যারা কর্মহীন অথবা যে পরিবারের পুরুষ মারা যাওয়ায় নারীদের খুব অসহায় অবস্থা তাদের জন্য কোনো প্রকার বিশেষ সহায়তা প্রকল্প করা যায় কিনা তা সরকারকে দেখতে হবে। এবারের বাজেট উন্নয়নের চাইতে বেশি হবে টিকে থাকার। সেই টিকে থাকার জন্য সাধারণ জনগণের কথা ভাবতে হবে। না হলে যারা কর্মহীন এবং যারা খাবার যোগাড় করতে পারবে না তারা নানা প্রকার অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে। তা যেমন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাবে তেমনি তা অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব রাখবে।
এই বাজেট যেন ধনীকে আরো ধনী, আর গরীবকে আরো গরীব করে না দেয়
অনামিকা পাল
উন্নয়নকর্মী।
করোনা (কোভিড-১৯) বর্তমানে বাংলাদেশকে ফেলে দিয়েছে জীবন-জীবিকার কঠিন বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যে। দেশের অর্থনীতি, জীবনযাত্রা, সামাজিকতা, শিক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য সবক্ষেত্রকে এই ভাইরাস ইতোমধ্যে তছনছ করে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতে আগামী ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট প্রণয়ন সরকারের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপন যেমন চ্যালেঞ্জিং তেমনিভাবে বাস্তবায়নও চ্যালেঞ্জিং। তবুও বাজেট নিয়ে সবার প্রত্যাশা থাকে অনেক। আগামী বাজেটে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি এই বিষয়গুলোর গুলোর প্রতিফলন প্রত্যাশা করছি। ১. চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা উচিত ২. সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা’র পরিধি এবং অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন ৩. পেনশনভোগীদের চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। ৪. কোভিড পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতি হিসাবে শিক্ষা খাতকে ঢেলে সাজানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ ৫. বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করা। সর্বোপরি এই বাজেট যেন ধনীকে আরো ধনী আর গরীবকে আরো গরীব করে না দেয় এটাই আমার প্রত্যাশা।
বিদ্যুৎখাতে সরকারকে ভর্তুকি দেয়া উচিত
কাজী আসমা আজমেরী
ভ্রমণকণ্যা
পৃথিবী এখন এক অদ্ভুত অস্থিরতার মধ্যে অবস্থান করছে। এই সময় পৃথিবীর বড় বড় অর্থনীতিবিদরাও যেমন কোণঠাসা হয়ে রয়েছে, তেমনি আমেরিকা, ইউরোপ অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড এর মত দেশগুলোতেও বাজেট পেশ ঝামেলার ভেতর রয়েছে। যেমন অস্ট্রেলিয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে, সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটকে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এবং বিশ্বজুড়ে করোনভাইরাস দেশগুলির অর্থনৈতিক ও আর্থিক প্রভাবের জন্য আরও বেশি সময় সরবরাহ করবে। আবার পাশের দেশ নিউজিল্যান্ড ২২ মে তাদের বাজেট পেশ করেছে, যার প্রায় অধিকাংশ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারে ৩৫ভাগেরমত এই খাতে ব্যয় করা হবে। যদি আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার বাজেট গুলো দেখি, তাহলে দেখা যাবে করোনাভাইরাসের দরুন সোশ্যাল অ্যাপিয়ার সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ করা হচ্ছে। ট্রান্সপোর্টে এই বছর বরাদ্দ খুব কম দেখানো হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এ থেকে বোঝা যায় যে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ধীর গতিতে চলবে ভবিষ্যতে। বাংলাদেশের ঠিক সেইভাবেই বাজেট তৈরি করা উচিত। এবছর বিদ্যুৎখাতে সরকারকে কিছুটা ভর্তুকি দেয়া উচিত।সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাসের সময় বাসায় থাকায়, বিদ্যুতের অনেক ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে যদি বিদ্যুতের বিল না বাড়ানো হয়, কিংবা ভর্তুকি দেয়া হয় তাহলে সাধারণ মানুষ অনেক স্বস্তিতে থাকবে। আর মানুষ এখন ইন্টারনেট ভিত্তিক হয়ে গিয়েছে, সেজন্য এডুকেশন ক্ষেত্রে যেই টাকা বরাদ্দ করা হবে তা যেন বাংলাদেশের ইন্টারনেটে /প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। স্বাস্থ্য সেবা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া যেসব শ্রমিকরা গার্মেন্টস, ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে ছাঁটাই হচ্ছে তাদেরকে প্রণোদনা দেয়ার জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকতে হবে। এ ছাড়া এ বছর কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বেশি কর আরোপ করা উচিত, যেসব মানুষের লাক্সারিয়াস প্রোডাক্ট- গাড়ি, প্রসাধন, পোশাক, যে কোন ব্র্যান্ডের ওপর অতিরিক্ত কর, বিবাহ অনুষ্ঠান উদযাপনে কর ধার্য করা উচিত।