গ্রীক বাজেটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনারের ভিটো প্রয়োগ ক্ষমতা দেয়ার জার্মান একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে গ্রীস।
গ্রীসের সরকার বলছে তার দেশের বাজেটের ওপর অবশ্যই তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে।
এদিকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়ার আশংকায় গ্রীসের জনগণও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।
গ্রীসের ব্যয় সংক্রান্ত জার্মান প্রস্তাব অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার প্রয়োজন হলে গ্রীসের বাজেট প্রস্তাবে ভিটো দেয়ার অধিকারী হবেন।
কারণ তারা মনে করে এতে করে গ্রীস তাদের ঋণ ভার কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না সেটি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ঋণ সংকট উত্তরণে প্রণোদনা প্যাকেজের বিনিময়ে অন্তর্জাতিক ঋণ দাতাদের বেধে দেয়া লক্ষ্য পূরণে গ্রীস বারবারই ব্যর্থ হচ্ছে।
এদিকে বেসরকারি ঋণদাতাদের সাথে গ্রিক সরকার একটি ঐকমত্যে পৌছানোর দ্বারপ্রান্তে এমনটাই দাবী করেছেন গ্রীক অর্থমন্ত্রী ইভানজিলোস ভেনিযিলোস।
তিনি আরও জানিয়েছেন এই ধরনের একটি চুক্তি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হতে পারে।
এখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।
আমরা এরিমধ্যে কাগজপত্র তৈরি করে ফেলেছি।
আসলে আমরা চূড়ান্ত চুক্তির এক ধাপ মাত্র পেছনে আছি।
এদিকে গ্রীসের মানুষ ব্যয়সংকোচন নীতির প্রভাব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে।
সেখানকার একজন নাগরিক বলছিলেন এই কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ-খাওয়াতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন এটা অন্যায়।
এটা সত্যিই অন্যায়।
এই সংকোচন অনেক আগেই করা উচিত ছিল।
তাহলে মানুষ সেটাতে অভ্যস্ত হয়ে যেতো।
এখন আমারা এমন একটা কঠিন জীবন যাপন করছি সেটা এড়ানো সম্ভব নয়।
আরেকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছিলেন সরকারের উচিত সাধারন মানুষকে এভাবে ভোগান্তির শিকার না করানো।
তিনি বলছিলেন তারা আমাদের কাছ থেকে শুধু নিচ্ছি। কিন্তু দিচ্ছে না।
যেভাবে চরছে তাতে মনে হচ্ছে একসময় তারা সরকারি কাজের নিয়ন্ত্রণ নিবে।খবর : বিবিসি
তাহলে আর কি বাকি থাকছে?
গ্রীসের সাধারণ মানুষের রাগ অনেকটাই জার্মানীর ওপর।
একই সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আইএমএফ এর ব্যয়সংকোচন প্রস্তাবও মানতে নারাজ গ্রিক জনগণ।
এখন বেসরকারী ঋণদাতাদের সাথে একটি চুক্তি সমস্যা এড়ানোর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দেশটির জন্য।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক