ধগত বুধবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রলীগ কর্মী কর্তৃক ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের প্রহৃত করার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয় মাসের জন্য এবং চার জনকে ছাত্রলীগ থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা যায়, গত সোমাবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ নাজমুল আহসান হলে নবীন এক ছাত্রকে সিট দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের বাকবিতন্ডা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের হস-ক্ষেপে মীমাংসা করে দেয়া হয়। এরপরেও বুধবার কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মী ছাত্র ইউনিয়নের কার্যালয়ে হামলা করে পাঁচ নেতা-কমী দের মাথা, হাত ভেঙ্গে ফেলে। এ ঘটনায় সমপৃক্ত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের শহীদ নাজমুল আহসান হলের কর্মী জাকারিয়া আলম (মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ) এবং নাঈম হোসেনকে (কৃষি অনুষদ) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬ মাসের জন্য বহিস্কার করা হয়। বাকৃবির প্রক্টর প্রফেসর ড. এমএ সালাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে একই ঘটনায় ছাত্রলীগ থেকে চার কর্মীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিস্কারকৃত ছাত্ররা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ নাজমুল আহসান হলের রফিকুল ইসলাম জুয়েল (কৃষি অনুষদ), শওকত আহসান (কৃষি অনুষদ) এবং শাহজালাল হলের মনছুর আহমেদ (কৃষি অনুষদ) ও মেহেদী হাসান (কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ অর্থনীতি অনুষদ)। বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি শামছুদ্দিন আল আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামন ইমন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে উদ্ভূত পরিসি’তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার বিশৃংঙ্খলা এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন- ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্ব ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রক্টর ড. এমএ সালাম। এদিকে ওই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র জোট। সমাবেশে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতৃবৃন্দ অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের আজীবন বহিস্কার ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।   সমাবেশ শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হয়।

অমিত মালাকার, বাকৃবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here