স্টাফ রিপোর্টার :: মোগল আমল থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ছিলো এক সুমৈত্রিক বন্ধন। সেই বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে শনিবার বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় দৈনিক, মাটি ও মানুষের কাগজ, নোয়াখালী প্রতিদিনের ৮ম বর্ষ পদার্পণ উপলক্ষ্যে ঢাকার কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে মৈত্রী উৎসব পরিনত হয় দুই বাংলার মিলন মেলায়।
আলোচনা সভা, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে পদক প্রদান আর আর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আলোকিত হয় অনুষ্ঠানের মঞ্চ। দর্শকদের উৎফুল্লতা আর আমেজের মধ্য দিয়েই বুঝা যায় দুই বাংলার শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। অনুষ্ঠানের ষোল আনাই পরিপূর্ণ হয় যখন আসন আলোকিত করলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিনের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি মো. নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লে.জেনারেল (অব:) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, শাহ টেক্সটাইলের কর্ণধার শুকান্তি লাল সাহা, পশ্চিমবঙ্গ বেঙ্গল এডুকেশন ফাউন্ডেশন এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাজাহান মন্ডল,কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক চৌধুরী শাহীন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি নুরুল করিম জুয়েল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, অনুষ্ঠানের আহবায়ক বিধান ভৌমিক প্রমুখ।
এ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত ইদ্রিস আলী, সৈয়দ জাহাঙ্গীর হাবিব, সৈয়দ রেজাউল হাবিব, কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, ডঃ প্রসন্ন সাহা, অধ্যাপক ডঃ শেখ কামালউদ্দিন, সৈয়দ রিজাউনুল হাবিব, হালিমা বিবি, সোনালী সরকার মিস্ত্রি, সাবিনা সৈয়দ, রেবা রায়, অশোক কুমার দাস, অনুশ্রী দাস এর উপসি’তিতে অনুষ্ঠানের কোন অংশই কমতি রাখেনি। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস’াপন করেন দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিনের সম্পাদক মো.রফিকুল আনোয়ার। এছাড়াও দুই বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপসি’তিতে পুরো অনুষ্ঠান আনন্দ উৎসব মূখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের যে মৈত্রী বন্ধন তা বাংলাদেশ এবং ভারতের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পারষ্পরিক সহযোগিতা অব্যহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। নোয়াখালী প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল আনোয়ার তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে নোয়াখালী প্রতিদিন কারো তাবেদারী না করে দলমত নির্বিশেষে সংবাদ পরিবেশন করে গেছে। তারই ফল স্বরূপ আজকের এই অনুষ্ঠান। সততা এবং নিষ্ঠার কারণেই বৃহত্তর নোয়াখালীর চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ আমরা পৌঁছে গেছি পশ্চিমবঙ্গে। ভারত বাংলাদেশের বন্ধন ৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন ভূমিকা রেখেছে তেমনি বর্তমানেও সব সময় ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
তিনি সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানান নোয়াখালীর সাধারণ মানুষের প্রতি। তিনি মনে করেন নোয়াখালীর মানুষ ছিল বলেই আজকে নোয়াখালী প্রতিদিন সবার কাছে এত জনপ্রিয় পত্রিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারত থেকে আসা অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে নোয়াখালী প্রতিদিনের এ আয়োজনকে স্বাগত জানান এবং নোয়াখালী প্রতিদিনের সাফল্য কামনা করেন।